উত্তর প্রদেশে মুসলিম নারীদের ধর্ষণের হুমকি দিলেন এক হিন্দু সাধু: গ্রেফতার দাবি

আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২২
0

ভারতে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের এক হিন্দু সাধু প্রকাশ্যে মুসলিম নারীদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আজ (শুক্রবার) গণমাধ্যমে প্রকাশ, নবরাত্রি ও হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে গত ২ এপ্রিল উত্তর প্রদেশের খায়রাবাদ শহরে অনুগামীদের নিয়ে মিছিল বের করেছিলেন উত্তর প্রদেশের খাইরাবাদ শহরের মহর্ষি শ্রী লক্ষ্মণ দাস উদাসীন আশ্রমের মহন্ত বজরং মুনি দাস।

স্থানীয়রা বলেন, মিছিল যখন একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখনই উসকানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেন বজরং মুনি দাস। ভাইরাল ভিডিওতে প্রকাশ, একটি গাড়ির ভিতর চালকের পাশের আসনে বসে মাইকে অনুগামীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন এক গেরুয়া বসনধারী। তিনি বলেন, ‘হিন্দু মেয়েদের উত্যক্ত করা হলে তোমাদের ঘর থেকে মহিলাদের বের করে এনে আমি ধর্ষণ করব। এই আমি খোলাখুলি বলে গেলাম। ওই সাধুর কথায় উল্লাসে ফেটে পড়েন তার অনুরাগীরা। এ সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই।

বজরং মুনি দাস নামে অভিযুক্ত ওই সাধুকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।

আজ (শুক্রবার) এনডিটিভি হিন্দি ওয়েবসাইটে প্রকাশ, কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এক মহন্তের মুসলিম নারীদের অপহরণ ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের কেউই তাকে নারীদের বিরুদ্ধে এমন অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখেনি। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে এবং আমরা অভিযুক্তের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের নীরব দর্শক থাকা উচিত নয় এবং যারা নারীদের প্রতি এ ধরনের অশালীন ভাষা ব্যবহার করে তাদের তা বন্ধ করা উচিত।

চিঠিতে কমিশন লিখেছে, উত্তর প্রদেশ পুলিশকে সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কমিশনকে জানাতে হবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশ, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। ঘটনাস্থলে পুলিস থাকা সত্ত্বেও মহিলা বিরোধী মন্তব্য করা থেকে অভিযুক্তকে আটকায়নি পুলিশ।’

পরে সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেখা শর্মা বলেন, ‘হিন্দু হোক কিংবা মুসলিম, নারীরাই এদের টার্গেট। এমন বহু অভিযোগ আমরা পেয়ে থাকি। সেগুলো পুলিসকে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কমে যাওয়ার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে।#