এক ফোনে কুমিল্লার ফল পাল্টানোর খবরকে গুজব বললেন সিইসি

আপডেট: জুন ২০, ২০২২
0

এক ফোনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ভোটের ফলাফল পাল্টে গেছে, এমন বক্তব্যকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার কুসিক নির্বাচন পরবর্তী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কুসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় বিশৃঙ্খলা চাঁদের কলঙ্ক হয়ে গেল কি না এক সাংবাদিকের এমন মতামত প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমরা রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি, কোনো বিপর্যয় দেখিনি। সিসিটিভির মাধ্যমে আমরা কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি দেখছিলাম। কিন্তু একটা টেলিফোনে ফলাফল পাল্টে গেল- এমন একটি কথা শোনা যাচ্ছে। শেষ মুহূর্তে একটা ফোনে বক্তব্য পাল্টে যায়, এটা একেবারে অসম্ভব। একটা বা দুইটা টেলিফোন আমি নিজেও করেছিলাম। আমাদের রিটার্নিং অফিসার আমাকে খুব বিপর্যস্ত অবস্থায় ফোন করে বললেন, ‘আমি বিপদে পড়েছি’। আমি সেখানে প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। আমি ভাবলাম তাকে মারধর করা হচ্ছে।’

কাজী হাবিবুল বলেন, আমি এরপর ডিসি-এসপিকে ফোন করেছিলাম। তারা তখন জানালেন তাৎক্ষণিক বিষয়টি দেখছেন। এরপর রিটার্নিং অফিসারকে বললাম, সমস্যা হবে না। পরে তিনি জানালেন পুলিশ এসেছে মানুষকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্ছৃঙ্খল ঘটনাটা মাত্র ১৫ মিনিট ছিল। কোনোভাবেই ২০ মিনিটের বেশি দীর্ঘ হয়নি। এরপর তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে ফলাফল ঘোষণা করলেন, সেটি আমরা দেখেছি।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটা ফোনে পাল্টে গেল- এটা একজন বলার পর হাজার মানুষ বলল। এটা আমাদের দেশের কালচার, এটা গুজব। মেশিনের ফল অথবা হাতের রেজাল্ট আমরা ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছি। এমন ঘটনা ঘটেনি।’

এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়ার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচিত কমিশন কাউকে এলাকা ত্যাগ করার আদেশ দিতে পারে না। চরণবিধি অনুযায়ী উনি (বাহাউদ্দিন) অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা তাকে এলাকা ত্যাগ করার আদেশ করিনি। তাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছিলাম, সেই চিঠি আছে। কিন্তু চারদিকে ছড়িয়ে গেলো আদেশ করার পরও তিনি প্রতিপালন করতে পারলেন না। এ কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়। নির্বাচন কমিশন সংসদ সদস্য কেন কোনো সাধারণ মানুষকেও এলাকা ত্যাগ করার আদেশ দিতে পারে না।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর, হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।