এক বধূর ২ স্বামী, তালাক না দিয়ে উল্টো জৈষ্ঠ স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা

আপডেট: জুন ৮, ২০২৩
0

গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :

বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার পাজড়াভাংগা গ্রামের কবির তালুকদারের মেয়ে তানজিলা আক্তারের এখন ২ জন স্বামী রয়েছে । অপর দিকে জৈষ্ঠ স্বামীকে তালাক না দিয়েই পরকিয়া আসক্ত হয়ে পালিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন তানজিলা। জানা যায় প্রথম স্বামী কাওছার সিকদারের কাছ থেকে তানজিলার বাবা যৌথ ব্যবসা করার জন্য (ধানি জমি বন্ধক) টাকা বলনের( বলতির) কথা বলে সাত লক্ষ টাকা নেন।

কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও বলন টাকা না পেয়ে কাওছার শ্বশুরের কাছে সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় মেয়েকে দিয়ে জামাতার বিরুদ্ধে উল্টো বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি যৌতুক মামলা ( নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ৪৩৮) দায়ের করেন। কিন্তু স্বামী কাওছারকে তালাক না দিয়েই তানজিলা পরকিয়া করে এ মামলা করার কিছু দিন যেতে না যেতেই একই উপজেলার কড়ইবাড়িয়া গ্রামের সাইদুর জোমাদ্দারের ছেলে হাসান জোমাদ্দারের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। এখন এক ২জন বৈধ স্বামী থাকায় এলাকায় নানান কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০ সালের ৫ ই মার্চ তালতলী উপজেলার পাজড়াভাংগা গ্রামের কবির তালুকদারের মেয়ে তানজিলা আক্তার ও একই উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামের বাকি বিল্লাহ সিকদারের ছেলে কাওছার সিকদারের সাথে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে নিকাহ নামা সম্পন্ন হয়। এর কিছু পরে তার শ্বশুর তাকে যৌথ ব্যবসার কথা বলে (বন্ধকি জমি) রেখে দিয়ে বেশি মুনাফা অর্জনের প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাকে কোন প্রকার মুনাফা না দেওয়ায় কাওছার তার টাকা ফেরত চান। পরক্ষনে জামাতার সেই টাকা না দিয়ে উল্টো তার মেয়েকে দিয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাবুনালে একটি যৌতুক ও নির্যাতন মামলা দায়ের করেছেন।

জৈষ্ঠ স্বামী কাওছার সিকদার জানান, তিনি তার শ্বশুড়ের কাছে সাত লক্ষ মুনাফার টাকা পাবেন। সেই পাওনা চাওয়ায় তার স্ত্রী তানজিলা আক্তারকে দিয়ে তার বাবা কবির তালুকদার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন। এমনকি তাকে তালাক না দিয়েই অনত্র বিয়ে বসেছেন।
এ বিষয়ে দ্বিতীয় স্বামী হাসান জোমাদ্দার মুঠোফোনে তানজিলা আক্তারকে নিকাহ করার সততা স্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত তানজিলা আক্তারের বাবা কবির তালুকদারের বক্তব্য নিতে তার বাড়ি একাধিক গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলার তিন নম্বর যেকড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম সিকদার (পনু) প্রত্যায়ন দিয়ে তানজিলা আক্তারের দ্বিতীয় বিবাহের সততা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও তিনি দ্বিতীয় বিবাহের একটি ভিডিও দেখেছেন।