`এখানে প্রয়োজনের সীমা কেউ জানে না’

আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২৩
0

ডা জাকারিয়া চৌধুরী :

তোমার সকল অর্জনে ঝুলি ভরে যাবার পর বুঝবে,
এতো বেশি কিছুর প্রয়োজন তোমার কখনো-ই ছিল না।
এ বাজারে প্রয়োজন আর মুদ্রাস্ফিতি সমানুপাতিক,
প্রয়োজন আর অর্থস্থীতি ব্যস্তানুপাতিক।
এখানে প্রয়োজনের সীমা কেউ জানে না।
যে জানে সে বলে না, সে অক্ষম।

অবিরাম উপার্জনের অস্থির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত সবে।
অথচ এরা যদি এক সময় থেমে যেত,
আমার আর প্রয়োজন নেই- কথাটা জানিয়ে দিতো,
মানুষের জীবনমান খুব কাছাকাছি চলে যেত।

জিতে যেত মানবিকতা, জিতে যেত বিশ্বাস।
বিশ্বাস কখনো কোথাও ছিল না।-
তাই ভাবছো বুঝি ?
তুমি আসলে হেরে এসেছো, বলছ না।
এখনো আছে দুটো-ই,
তুমি হয়তো মুদ্রাস্থিতিতে চাপা পড়ে গেছো।
কেন জানো ?
এ ব্যাবস্থাকে গুড়িয়ে দিতে তুমি আসোনি।
তুমি ভেবেছো এটা বুঝি কেবলই রাজনীতি,
আমি বলেছি, এ তোমার অধিকার নিশ্চিতকরন,
তোমরা সবে এসো, শুনোনি আসোনি।
তোমরা তাই আজ দাস হয়ে গেছো,
দাসত্বই তোমাদের আসল পরিচয়।
এভাবেই থেকো।
তোমরা তখনো ভালো-ই ছিলে-
আমরা যখন বিপ্লবী কবিতা লিখছিলাম,
রোদ বৃষ্টিতে পুড়ে ভিজে প্রস্তুত হচ্ছিলাম,
বন্দুকের নলের মুখে অটল দাড়িয়েছিলাম।
হাসিমুখে, হ্যা হাসিমুখেই…
স্ত্রী সন্তানদের হারানোর ব্যাথা সয়েছিলাম,
সেও হাসিমুখেই।
তোমরা কত বিচিত্র ভংগিমায় হেসেছিলে,
তাচ্ছিল্যের সবটুকু রস ঢেলে দিয়েছিলে,
কেবল আমাদেরকে লক্ষ্য করে !!!
কেউ কি ভেবেছো-
তোমাদের অশ্লীল এই উল্লাস এই মুর্খতা
একদিন তোমাদেরকেই গিলে খাবে।
বিশ্বাস হয় না ?
আর ক’টা দিন সবুর কর; নিজেরাই নিজেদের
বিষন্ন চেহারা দেখবে। আমরা উল্লাস করব না।
মনে রেখো-
আমরা কেউ স্খলিত ছিলাম না,
ভুল বুঝো না।
ভেবে দেখো –
অথবা তোমার বিশ্বাস সকল তোমাকে যবে পূর্ণ করে,
তুমি তোমার টালি খুলে দেখো,
তোমার অর্জনের সকল পাতা আজ
কেবলই শুন্য খেরো খাতা।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক দেশ জনতা ডটকম