এ মুহূর্তে বাংলাদেশের ঋণ নেয়ার প্রয়োজন নেই : অর্থমন্ত্রী

আপডেট: জুলাই ২১, ২০২২
0

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কিছু করা হবে না।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে তার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণ আমাদের প্রয়োজন থাকলে নেব। আমাদের এ মুহূর্তে ঋণের কোনো প্রয়োজন নেই। যদি প্রয়োজন থাকে অবশ্যই আমরা ঋণ নেব। তবে সেটা আমাদের স্বার্থেই নেব। আমরা নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো কিছু করব না। আমরা এমন কোনো প্রকল্প বা ফান্ডিংয়ে যাব না যেগুলো আমাদের দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী হয়। স্বার্থের পরিপন্থী কিছু করব না সেটি নিশ্চিত করতে পারি।’

আইএমএফের বাংলাদেশের রিজার্ভ নিয়ে দ্বিমত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ বাংলাদেশে আসছে, এটা একটা পরামর্শক কমিটি। তারা পরামর্শ দেন, আমরাও তাদের পরামর্শ দিই। তারা আমাদের কাছে কী জন্য এসেছেন সেটি নিয়ে ফরমাল কিছু আমাদের বলেনি। আপনাদের অনেকের মনে হয়তো সংশয় কাজ করে যে আমরা অনেক কিছু নিয়ে নেব বা চুক্তি করব। এ ধরনের কিছু আমাদের কাছে আসেনি, এলে জানতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘রিজার্ভের বিষয়টি হলো বিভিন্ন দেশ যেভাবে হিসাব করে আমরা সেভাবেই হিসাব করেছি, সেভাবেই হিসাব করে যাব। আইএমএফ আমাদের যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে সে পরিমাণ টাকা কি তারা পায়নি? তারা বলতে পারবে না এক দিন পরে তাদের পেমেন্ট করেছি। সুতরাং তারা এনশিওর থাকবে যেসব ঋণ আমাদের দিচ্ছে বা দেবে সেসব বিষয়ে। আমরাও তাদের বারবার আমাদের দিক থেকে আশ্বস্ত করেছি আমাদের ঋণ দিলে তাদের কখনো সেটা মাফ করতে হবে না। আমাদের ঋণ শোধের ক্যাপাবিলিটি ভালো। আমরা সবসময় পেমেন্ট করে আসছি। আমরা পেমেন্টে কখনো ডিলে করিনি।’

আইএমএফ বড় অঙ্কের একটি ঋণের অফার সরকারকে দিয়েছে, এমন কোনো ঋণ নেবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ফরমাল প্রপোজাল আইএমএফ থেকে আসেনি। আমরাও আইএমএফকে অর্থ নেয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠাইনি। সুতরাং এগুলো যখন আসবে আপনারা জানতে পারবেন। এগুলো কোনো না জানার বিষয় নয়।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আইএমএফ মাঝে-মধ্যেই আসে। তাদের যে পরামর্শ থাকে সেটি দিয়ে যায়। তাদের দেয়া পরামর্শ সরকারের জন্য অনেক ক্ষেত্রে উপকারী। সংস্কারমুখী কিছু প্রজেক্টের কথা সবসময় বলে থাকে।’