ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে -ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের

আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২২
0

রাজনীতির প্রধান নিয়ামক শক্তি হচ্ছে মানুষ। আমরা যে ভূখন্ডে বাস করি সেই ভূখন্ডে মানুষের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগণই ক্ষমতার উৎস বলা হলেও বাস্তবে প্রশাসন, সিভিল প্রশাসন, বিভিন্ন বাহিনী, আমলা ও আন্তর্জাতিক শক্তি এদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল ও দর্শন নাস্তিক্যবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাদ, জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম এই চার ভাগে বিভক্ত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার উদ্যোগে ২৬ ও ২৭ আগষ্ট দুই দিনব্যাপী রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমীর মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
তিনি আরো বলেন, “১৯৮৮ সালের নির্বাচন ছিলো জঘন্য। বিশটি হুন্ডা, চল্লিশ জন গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা এই শ্লোগানটি শুরু হয়েছিলো ঐ সময়।

এসময় মেজর কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। আওয়ামীলীগ পূর্বেও যেমন বেপরোয়া দল ছিলো, এখনও তারা বেপরোয়া। সকল রাজনৈতিক শক্তি একত্রে হোক বা যুগপৎভাবে হোক আন্দোলন করা দরকার। সকলে মিলে একটি শক্তিশালী গণ আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে জনগণ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।”
শিক্ষাশিবিরে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য জনাব আবদুর রব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা মমতাজ উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “জামায়াতের স্থায়ী কর্মসূচী ও কর্মনীতি কুরআন ও হাদিসের আলোকে প্রণীত। এই সংগঠনের কাক্সিক্ষত মান ঠিক রাখতে হলে আমাদেরকে আখেরাত ভিত্তিক তৎপরতা চালাতে হবে। আমাদের কাজের মধ্যে কোনো কৃত্রিমত্তা রাখা যাবে না। খুলুসিয়াতের সাথে সব কাজ করতে হবে। ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার মাধ্যমে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। কথা ও কাজে মিল রাখতে হবে। ক্ষমা ও উদার মন নিয়ে সংগঠনের কাজে রুকনদের ভূমিকা পালন করতে হবে।”
দুই দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে জেলা নায়েবে আমীর, জেলা কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন উপজেলা আমীর ও রুকনগণ অংশগ্রহণ করেন ।

দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে বার্ষিক রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তিকে আপামর জনসাধারণের বিপদে-আপদে সহযোগিতার হাত নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যাপক সামাজিক কাজের মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আন্দোলন হিসেবে আল্লাহর জমীনে তাঁরই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় জামায়াতের শপথের জনশক্তি রুকনদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। জামায়াত প্রতিষ্ঠার ৮১ বছর পেরিয়ে আজকে ৮২ বছরে পদার্পন করেছে। জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিদের মজবুত ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে জাহিলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মুকাবিলার জন্য ইলমী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আল্লাহর গোলাম হিসেবে জান্নাতের প্রত্যাশায় আমলি জিন্দেগি উন্নততর করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

২৬ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৪টায় দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম-এ যুক্ত হয়ে উপরোক্ত কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর জনাব মো: আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ড. এনামুল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমীর বিশিষ্ট আলেমে দীন মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম সৈকত, জেলা শিক্ষাবিভাগের সেক্রেটারি হাফিজুল ইসলাম ও জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।