কক্সবাজারে বন্যা দুর্গত মানুষের উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তায় সেনা ও নৌবাহিনী

আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২৩
0

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত পানিবন্দী দুর্গত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে তিনটি বোটসহ নৌ কন্টিনজেন্ট মোতায়েন এবং জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে নৌবাহিনী। অন্যদিকে উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় অবস্থিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পে দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের উদ্ধারকারী দল তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) কক্সবাজারের পেকুয়ায় পানিবন্দী ১২ শতাধিক দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। পেকুয়া উপজেলায় টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে ৫টি উপজেলার ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

খাদ্য সহায়তা হিসেবে পানিবন্দী প্রতিটি পরিবারকে সাতদিনের চাল, আটা, ডাল, ছোলা, লবণ, মুড়ি, চিড়া, চিনি, মোমবাতি, বিস্কুট, স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধীকরণ ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য পেকুয়াস্থ নতুন সাবমেরিন ঘাঁটি বানৌজা শেখ হাসিনা’ প্রস্তুত রয়েছে বলে নৌবাহিনীর এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুর্বিতা চাকমা নৌবাহিনীর এই কন্টিনজেন্টের নেতৃত্ব দেন।

প্রেস রিলিজে জানানো হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী পানিবন্দী এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষ মেডিক্যাল টিম, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিকে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

১০ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার ও অন্যান্য সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিয়মিত সংবাদ সংগ্রহ ও বিভিন্ন তথ্যের জন্য রামু সেনানিবাসে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।