কাতারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক জনশক্তি ও রেমিট্যান্স কেন্দ্রিক : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: জুন ১৪, ২০২৩
0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাতারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক জনশক্তি ও রেমিট্যান্স কেন্দ্রিক। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা থেকে অব্যাহতি লাভ করবে। এর পাশাপাশি আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য টেবিলে উপস্থাপিত নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ,কে,এম রহমতুল্লার এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসির অংশ হিসেবে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দক্ষ জনশক্তি রফতানি এবং বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণের জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

এরই অংশ হিসেবে গত ৬ মার্চ কাতারের দোহায় ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৩-এ ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার পটেনশিয়ালস অব ট্রেড এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের বেসরকারি খাতগুলোকে পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমুন্নত করার প্রত্যাশা পুর্নব্যক্ত করেছি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে বাংলাদেশ-কাতার সরকার পর্যায়ে একটি কমিটি গঠনের আহ্বান জানাই এবং একইসাথে পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য দুই দেশের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে একক একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আরো গতিশীল করার জন্য যৌথ ব্যবসায়িক ফোরাম প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছি।

সরকার দলীয় সদস্য হাবিবর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-কাতার বিজনেস ফোরাম’ দুই দেশের বেসরকারি খাতগুলোকে নতুন নতুন মাধ্যমে যুক্ত করে বাংলাদেশ ও কাতারের সম্পর্ক অধিকতর শক্তিশালী করবে।

শেখ হাসিনা বলেছেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে আমি কাতারের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে ও দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। সূত্র : বাসস