কানাডায় ইহুদিদের তাড়া করলেন ফিলিস্তিনি সর্মথকরা

আপডেট: মে ১৭, ২০২১
0

কানাডার মন্ট্রিলে রোববার একদল ইহুদি ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদের পক্ষে সাফাই গাইতে জড়ো হলে ফিলিস্তিনের সমর্থকরা তাদের তাড়া করেন।

রোববার ভোরে মন্ট্রিল স্কোয়ারে ইসরাইলের পতাকা হাতে জড়ো হয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চালানো ইহুদিবাদীদের হামলার পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে ইহুদিবাদীরা।এ সময় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ইহুদি ওই বর্ণবাদী স্লোগান দেওয়া দলটিকে তাড়া করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর আরব নিউজের।

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত পুলিশ এসে দুপক্ষকেই মন্ট্রিল স্কোয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দুপক্ষই মারমুখী অবস্থান নিলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ করে দেয়।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় চলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, কানাডায় কেউ ধর্ম ও বর্ণবিদ্বেষ এবং ইসলাম ফোবিয়া ছড়িয়ে সমাজে সম্প্রতি নষ্ট করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শনিবার মন্ট্রিল ছাড়াও কানাডার টরন্টো, ওটোয়া, ভ্যানকুভারসহ বিভিন্ন শহরে ফিলিস্তিনের বেসামরিক লোকজনের ওপর বোমা হামলার প্রতিবাদে ইসরাইলবিরোধী বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার সকালে পাল্টা সমাবেশ করতে এসে তাড়া খেয়ে পালিয়েছে ইহুদিরা।

এদিকে ইহুদিবাদী ইসরাইল রোরবার সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনে। নারী-শিশুসহ এদিন ৪২ বেসামরিক ফিলিস্তিনি ইসরাইলের বর্বরোচিত বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।আন্তর্জাতিক সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ইসরাইলি বাহিনী রোববার গাজা সিটির আবাসিক এলাকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন শিশু ও নারীরা।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রোববারের হামলায় ১০ শিশু ও ১৬ নারীসহ ৪২ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সকর্মীরা জানিয়েছেন, গাজার আল-রিমাল আবাসিক এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে এখনও চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম ও সহায়তা প্রয়োজন।

ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনের রাস্তাঘাট পর্যন্ত বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এতে উদ্ধার অভিযান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই একের পর এক আবাসিক ভবন বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেয় দখলদার ইসরাইল বাহিনী।

ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, রোববার তারা গাজায় ৯০টিও বেশি অবস্থানে হামলা করেছে। তাদের দাবি, তারা হামাস ও ইসলামি জিহাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।