কারাগারে অসুস্থ রিজভীর মুক্তি ও সুচিকিৎসা চায় বিএনপি

আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২৩
0
file photo

নিজস্ব প্রতিেবেদক:
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স’র প্রেস বিফ্রিংয়ে এ দাবী জানান। এ সময় তিনি দেশব্যাপী নেতা্কর্মীদের গুম, হামলা মামলার চিত্র তুলে ধরেন গণমাধ্যমের কাছে।

সালেহ এমরান প্রিন্স বলেন , ”রমজান মাসে এবং ঈদের আগ মুহুর্তেও ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকার দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবীর রিজভী আহমেদকে গত ৭ ডিসেম্বর ২০২২ইং বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়। আপনারা সকলেই জানেন, রিজভী আহমেদ শারীরিকভাবে অসুস্থ। ”

কারাগারে তাঁকে সু-চিকিৎসা দেওয়া হয় নাই। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বার বার তাঁকে বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়ার আহবান করা হলেও, সরকার তা করে নাই। বার বার তাকে মুক্তি দেয়ার দাবী করা হলেও ফ্যাসিবাদী সরকার মুক্তি দেয় নাই। সকল মামলায় জামিন থাকলেও অন্যায়ভাবে ঠুনকো কারনে তাঁকে ঈদের আগে মুক্তি দেওয়া হয় নাই। এটা সরকারের কর্তৃত্ববাদী প্রতিহিংসার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে রিজভী আহমেদ এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি।

ঈদের একদিন আগে অর্থাৎ ২০ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিনকে পুলিশ বিনা কারনে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গত ১০ এপ্রিল ২০২৩ইং আছরের নামাজের পর বাড্ডা থেকে সাদা পোষাকধারীরা জিয়া মঞ্চের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়ালকে তুলে নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।

পরিবারের সাথে সাথে আমরাও এ ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং চিন্তিত, কারন এর আগেও সাদা পোষাকধারীরা একইভাবে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের গুম করেছে। পরবর্তীতে তাঁদের অনেকেরই কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিন এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি। আমরা অবিলম্বে জিয়া মঞ্চের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়ালকে জনসম্মুখে হাজির করারও দাবী জানাচ্ছি।

ঈদের আগেও সরকার মিথ্যা মামলা বন্ধ করে নাই। গত ২০ এপ্রিল ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার সহ ও তার ভাই যুবায়ের হোসেন তালুকদারসহ তারাকান্দা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতা কর্মীর নামে ও ১০/১২ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়। আমরা অবিলম্বে মোতাহার হোসেন তালুকদারসহ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানী বন্ধের দাবী করছি।