কালো আইন প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে সরকার—- ড. মঈন খান

আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩
0

স্টাফ ররিপোর্টার, গাজীপুর।।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক তথ্য মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশে বর্তমানে অলিখিত বাকশাল চলছে। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সংবাদপত্রের টুটি চেপে ধরেছে, এই কালো আইন প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের ভুল ধরিয়ে সমালোচনা করলে সংশোধনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু সমালোচনা করলে এ সরকার এটিকি রাষ্ট্রদ্রোহী মনে করে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির সংবাদ পরিবেশন করে প্রথম আলোর সাংবাদিক সরকারের ভুল ধরিয়ে দিয়েছিল। এ জন্য তাকে পুরষ্কৃত করার দরকার ছিল। কিন্তু সরকার তা না করে তাকে রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে জেলে নিক্ষেপ করেছে।

তিনি আরো বলেন, সংবাদপত্র নিধন আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস। তারা ৭২-৭৫ সালে চারটি সংবাদপত্র রেখে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। জিয়াউর রহমান বাকবাশ বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে জনগণের অধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া সততা ও শৃংখলার নজির স্থাপন করেছিলেন। তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের মধ্যে যা বিরল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষতমা দখলের পর আবার অলিখতভাবে বাকশাল কায়েম করেছে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে আন্দোলনের মাধ্যমে এই নব্য বাকশালকে বিদায় করে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করে জনগণের অধিকার আবার ফিরিয়ে দেয়া হবে।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় শুক্রবার বিকেলে মহানগরের টেকনগপাড়ায় সাগর সৈকত কমিউনিটি সেন্টারে গাজীপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, মেয়র মুজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, ওমর ফারুক সাফিন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা ডা. শফিকুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন কবীর মাস্টার, ভিপি মো. হেলাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, আবু তাহের মুসল্লি, শেখ মারুফ আহমেদ, আক্তারুল আলম মাস্টার, মো. রিয়াজ উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. আতাউর রহমান মোল্লা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান মুন্না, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন শিশির প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা মো. শামসুল আলম সরকার, মো. শাখাওয়াত হোসেন সবুজ, মো, আবু বকর সিদ্দিক, ব্যরিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী, মো. শাহজাহান ফকির, সাংবাদিক রাশেদুল হক, পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, আসাদুজ্জামান আকাশ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ইকবাল শেখ, দেওয়ান মোয়াজ্জিম হোসেন, জয়নাল আবেদীন রিজভী, খালিকুজ্জামান বাবলু, বিল্লাল হোসেন বেপারী, জেলা ওলামাদলের সদস্য সচিব হাফেজ মো. ইব্রাহিম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল জনিসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বক্তব্যে বলেন, ১০ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে অবৈধ এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, আন্দোলন বেগমান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করেই বিএনপি ঘরে ফিরবে।
মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করায় বেগম জিয়া ও তারেক রহমান বিশ্বব্যাপী ব্যাপক নন্দিত এবং গণতন্ত্রের কবর রচনা করে শেখ হাসিনা নিন্দিত হয়ে ভোটচোরের খেতাব পেয়েছেন।
ডা. মাজহারুল আলম বলেন, কায়েমী স্বার্থে শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
ওমর ফারুক সাফিন বলেন, জনগণ শেখ হাসিনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই এই সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
স্টাফ ররিপোর্টার, গাজীপুর।
৩১/০৩/২০২৩ইং