উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের শক্তিশালী বোন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনীতি পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করে উপহাসের সঙ্গে মঙ্গলবার বলেছেন যে, মার্কিন আলোচনার প্রত্যাশা তাদের “আরও বড় হতাশায় ডুবিয়ে দেবে।”
কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কিম ইয়ো জংয়ের ভুয়া বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির উপর কূটনৈতিক গতি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা অব্যাহত থাকলে উত্তর উত্তরে মহামারীজনিত অর্থনৈতিক অসুবিধা না ভোগ করে এবং বাইরে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন না পড়লে কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন।
গত সপ্তাহে কিম জং উন বলেছিলেন পর পর পরমাণু আলোচনার পুণ:সূচনা প্রত্যাশা প্রকাশিত হয়েছিল যে তার দেশ অবশ্যই সংঘাতের জন্য আরও কিছু হলেও সংলাপ ও সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান কিমের মন্তব্যকে একটি “আকর্ষণীয় সংকেত” বলে অভিহিত করেছেন।মঙ্গলবার, কিম ইয়ো জং সুলিভানের প্রতিক্রিয়া উপহাস করেছেন।
“এটি দেখে মনে হচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতিটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে যাতে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের সন্ধান করতে পারে,” কোরিয়ার সরকারী সংবাদ সংস্থা তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে। “প্রত্যাশা, যা তারা ভুল উপায়ে আশ্রয় নিতে বেছে নিয়েছিল, তা তাদেরকে আরও হতাশায় ডুবিয়ে দেবে।”
সিওল-ভিত্তিক কোরিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি’র বিশ্লেষক শিন বিমচুল বলেছেন, উত্তর কোরিয়া কয়েক মাস ধরে একই বার্তাটি জানিয়ে আসছে – যে আমেরিকা যুক্তিযুক্ত অর্থ ছাড় না দিলে আলোচনায় ফিরে যাওয়ার কোনও উদ্দেশ্য নেই। স্বল্প অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফর্ম। তিনি বলেছিলেন, বাইডেন প্রশাসন কোনওভাবেই বাজে উঠতে চায় না।
শিন বলেছিলেন, “উভয় পক্ষই অপেক্ষার খেলায় আটকে আছে – উত্তর কোরিয়া চায় যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে ছাড় দিক, এবং যে দাবিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তার সাথে মিলে যাওয়ার আমেরিকার কোনও উদ্দেশ্য নেই।”
সোমবার সিউলে সফরকালে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ক শীর্ষ মার্কিন রাষ্ট্রদূত সু কিম বলেছিলেন যে ওয়াশিংটন উত্তরের সাথে “পূর্বশর্ত ছাড়াই যে কোনও সময়, যে কোনও সময়” দেখা করতে রাজি রয়েছে। তবে তিনি জোর দিয়েছিলেন যে বিডেন প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে নিষেধাজ্ঞাগুলির সাথে চাপ অব্যাহত রাখবে।
