কুড়িগ্রামে গলায় ফাঁস ঝুলিয়ে আত্নহত‍্যা করলেন এক কলেজ শিক্ষক

আপডেট: মার্চ ৯, ২০২২
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের হিঙ্গন রায় গোরস্থান পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস ঝুলিয়ে আবু তাহের (৫৬) নামের এক কলেজ শিক্ষক আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।। নিহত আবু তাহের জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে জেলা শহরের হিঙ্গন রায় গোরস্থান পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত আবু তাহের সকালে বাসার ছাদে হাটাহাটি করেন। স্ত্রী নাদিরা বাসার চতুর্থ তলায় রুটি তৈরী করছিলেন। হাটাহাটি শেষ করে বাসার নিচে পানির পাম্প চালু করতে যান। পরে তার আর কোন সাড়া শব্দ না মেলায় নিহতের স্ত্রী নাদিরা বেগম তাকে খুঁজতে দোতলার বসত ঘরে গিয়ে ফ্যান লাগানোর লোহার রডে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। নাদিরা বেগমের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। পরে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসঅাই) জিয়াউর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যাক্তিকে ফ্যান লাগানোর রডে গলায় রশি পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। নিহতের ছেলে কর্মস্থল থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন। তিনি বাড়ীতে আসলে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে।
নিহতের স্ত্রী নাদিরা বেগম বলেন, আমার স্বামী সকালে বাসার ছাদে হাটাহাটি করে এসে নাস্তা। আমি রান্না ঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তিনি পানির মেশিন চালু করতে বাসার নিচে গেলে আর কোন সাড়া শব্দ মেলেনি। পরে তাকে খুঁজতে দোতলার থাকার ঘরে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত দেখতে অবস্থায় পাই।

নাদিরা বেগম ও নিহতের স্বজনদের দাবী, নিহত আবু তাহেরের পূর্ব কর্মস্থল উলিপুর সরকারি কলেজ ছিল। সেখানে কর্মরত থাকাকালীন স্টাফদের সাথে দ্বন্দ্ব থাকায় তারা ২০২০ সালে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলায় চাকুরী হারানোর ভয়ে দুঃশ্চিন্তা ও হতাশা নিয়ে দিনাতিপাত করে আসছিলেন তিনি। এই দুঃশ্চিন্তা ও ভয়ে হতাশা নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তারা।
নিহতের স্ত্রী নাদিরা বেগম জেলার চর বজরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। নিহত ব্যাক্তির দুই ছেলে। বড় ছেলে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট এবং ছোট ছেলে ইন্টারমেডিয়েট পাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোঃ শাহরিয়ার বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। তদন্তের পর আইনুনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###