কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে অংশ নেননি পিটার হাস ও প্রণয় ভার্মা

আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২৪
0

দু’দিন পর ৭ জানুয়ারি রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ঢাকায় থাকা বিদেশী মিশনের কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের নির্বাচনের শেষ পরিস্থিতি জানাতে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন। ব্রিফিংয়ে চীন, রাশিয়া, জাপানসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এলেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা অংশ নেননি। তবে দু’জনই দূতাবাস থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ভোটের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্রিফ করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। ভারত ও মার্কিন দূতদের সশরীরে উপস্থিত না থাকা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘হয়ত ওনাদের অন্য কোনো ইয়ে আছে। ওনাদের প্রতিনিধি আসছে। আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ করি। আমাদের এখানে যতগুলো দূতাবাস আছে বা যতগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে। আমি আমার চোখের হিসেবে বলতে পারি, বেশিরভাগ আসছে। আমার মনে হয় ৫০-এর মতো হবে।’

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা কম প্রশ্ন করেছেন। পশ্চিম দেশের দু-একজন রাষ্ট্রদূতের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমি আমার বক্তব্য তাদেরকে বললাম, পাঁচ বছর পর পর ইলেকশন হয়। এমন একটা সুযোগ সব দেশের রাষ্ট্রদূতের হয় না। আমি নিজেও রাষ্ট্রদূত ছিলাম সুযোগ আসেনি। যেহেতু তারা সুযোগ পেয়েছে এই সুযোগটাকে তারা যেন ভালোমতো ব্যবহার করেন।’

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমি বলেছি, আপনারা আরো প্রশ্ন করতে পারতেন। কম করলেন কেন? এ বিষয়ে তারা (কূটনীতিকরা) জানিয়েছেন ইসির সাথে তাদের সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা অনেক আপডেটেড, তাই তারা প্রশ্ন কম করেছেন। বলে রাখা ভালো, তারা বেশ কয়েকবার দফায় দফায় মিটিং করেছে ইসির সাথে। তাই সেগুলো তারা অনেকখানি ওয়াকিবহাল।’

ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা আশ্বস্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘সেটা তারা বলতে পারবেন। আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। এটাতো চেহারা দেখে বলা মুশকিল। তারা ইন্ডিভিজুয়ালি সেটিসফাইড কি না এটা বলা মুশকিল। তবে ইলেকশন কমিশন যথাসাধ্য বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। উনাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নাই। ৭ তারিখ যদি জনগণ ভোট দিতে আসে তাহলে উনাদের চেষ্টা সফল হবে।’

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটারের কাছে জানতে চাওয়া হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ব্রিফিংয়ে আশ্বস্ত হয়েছেন কি না, জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সাথে গত বছর থেকে যুক্ত আছি। আজ যেসব আলোচনা হয়েছে, তাতে নতুন কিছু নেই। শুধু তারা আমাদের হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শুরু থেকেই আমার মনে হয়েছে, নির্বাচন কমিশন একটি ভালো নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সবচেয়ে ভালো কিছু করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। তবে তারা এটাও ঠিক বলেছে যে (নির্বাচনকে ঘিরে) রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তারা দায়ী নয়।’

ভোটে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের আসার বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৬০ জন বিদেশী পর্যবেক্ষক এসে পৌঁছেছেন। ১২৭ জন কূটনীতিকের আসার কথা। এ ছাড়া, ৭৩ জন বিদেশী সাংবাদিক অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছেন। বিদেশী সাংবাদিকদের মধ্যে ১৭ জন এসে পৌঁছেছেন আজ এবং কালকের মধ্যে সবাই এসে পৌঁছে যাবেন। পর্যবেক্ষকদের আসা অব্যাহত রয়েছে।’