ক্লিন সিটি এন্ড গ্রীন সিটি করবো : এড: তৈমুর

আপডেট: ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি জনগনের চাহিদার কারনে নির্বাচনে দাড়িয়েছি। আমার মনে হচ্ছে জনগন তাদের প্রার্থী খুঁজে পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জকে আমরা ক্লিন এন্ড গ্রীন সিটি করবো। নারায়ণগঞ্জ শহর হবে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহর। এর জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি খালি জায়গায় গাছ রোপন করা হবে। ছাদবাগনের মাধ্যমে মানুষের খাবারেরও যোগান হবে। ছাদবাগান যারা করবে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে উৎসাহিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে প্রচার প্রচারনায় নেমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।
তৈমুর বলেন, কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি বলেন। আমি জনগনের প্রার্থী। আমাকে সর্বস্তরের জনগনের কাছে যেতে হবে। আপনারা যদি এভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন সরকারি দলের কথায়। তাহলে এটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। আমি নারায়ণগঞ্জ শহরে নিজের পায়ে হেটে এতদূর এসেছি। মিছিলে সন্ত্রাসীদের গুলিবিদ্ধ হয়েছি। বহুবার পুলিশের মার খেয়েছি। ভয় পাওয়ার লোক তৈমুর আলম খন্দকার না।
তিনি বলেন, সাউন্ড সিস্টেম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিজ্ঞানিরা বলে উচ্চ শব্দের কারনে বারো বছর হায়াৎ কমে যায়। নির্বাচনী প্রচারনা চলাতে গিয়ে টাকার জোরে কেউ যদি সাউন্ড সিস্টেম চালায় তাহলে এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার কথা। নির্বাচন কমিশনকে বোবা এবং অন্ধ হলে চলবে না। তাদের চোখকান খোলা রেখে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। তবেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে সে অনেক কিছু বলতে পারে। তবে আমি যা বলি কাগজে কলমে বলি। ডকুমেন্ট ছাড়া কোনকিছু বলি না। সিটি করপোরেশনের অনেক ডকুমেন্ট আমার হাতে। এখানে গুবিপ্লব হতে যাচ্ছে। জনগনের জয় হবে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জেই যথেষ্ট নেতা আছে। আর আমিই তো আল্লাহর রহমতে জাতীয় পর্যায়ের নেতা। নারায়ণগঞ্জের জনগণ আমার পাশে থাকলেই চলবে।
আচরনবিধির প্রসঙ্গে তৈমুর বলেন, যেখানেই আচরনবিধি লঙ্ঘন হবে এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সেটা প্রতিহত করা। নয়তো আচরনবিধি লঙ্ঘন হতেই থাকবে। সরকারি দল তো আমলাদের একটা সুবিধা পায়। সেটাকে তারা যেন কাজে না লাগাতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার জন্য আমি অনুরোধ জানাবো।
আমার বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। আমি মসজিদে গিয়েছি, আমি যেতেই পারি। আমি কোন পথসভা করিনি। আমি আরচণবিধি মেনে চলেছি। ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির বিজয় মিছিলে আমার সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। সেখানে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে নেতাকর্মীদের মনে কষ্ট দিয়ে জআমি সেই মিছিলে যাইনি। আমি অভিযোগ করেছি আওয়ামী লীগের সমাবেশে এমপিরা এসে প্রতীকসহ সরাসরি ভোট চেয়েছে।