ক্ষমতাসীনদের লুটপাট ও অরাজকতা জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে: ইসলামী সমাজ

আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২১
0

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী সমাজ’র আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকায় মানুষে মানুষে দ্বন্দ, সংঘাত ও সংঘর্ষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন আইন তৈরি করার পরেও দুর্নীতি, ঘুষ, মাদক, গুম, খুন ও ধর্ষন বন্ধ হচ্ছে না। মানুষের জীবনে মানবতা ও মনুষত্ব বিলুপ্ত হয়ে হিংসা-প্রতিহিংসা এবং মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা ক্রমেই বেড়ে চলছে।

আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী সমাজের উদ্যোগে ‘মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের নেতৃত্বের আনুগত্যে জাহান্নামের পথে বিশে^র মানব সমাজ, এ থেকে বাচাঁর উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, ক্ষমতাসীনদের লুটপাট ও অরাজকতা সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য মানুষের জীবনে চরম অশান্তি সৃষ্টি করেছে। মানররচিত ব্যবস্থার নেতারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে। ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ হাসিল করছে। আইনকে ক্ষমতার কাছে বন্দি করছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য সুবিধামত আইন রচনা করছে।

ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে মানুষের সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে মানবরচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক নেতাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত আছে বিধায়; বিশ্বব্যাপী অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে, আল্লাহর আযাব-গজবও ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকল ধর্মের অনুসারীদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তারই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী (রহমতের) নেতার নেতৃত্বে রাসূল (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠিত হলেই সকল সমস্যার সমাধান হবে এবং যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে তারা আখিরাতের জীবনে চির সুখের স্থান জান্নাত লাভ করবে।

সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত চেষ্টা করাই সকল প্রকার ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাত লাভের একমাত্র উপায় একথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী সমাজ মহাক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্যই আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসময় তিনি দল-মত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানবরচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে পরিচালিত সমাজ পরিত্যাগ করে ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান।

ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান (বুলবুল) এর সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল নেতা মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, সোলায়মান কবীর, আজমুল হক এবং বিভাগীয় সহকারী দায়িত্বশীল প্রফেসর গুলজার আহমেদ, মো. হুমায়ূন কবীর, সৈয়দ মুহাম্মাদ কবীর ও ইসলামী সমাজ ঢাকা দক্ষিণ সিটির দায়িত্বশীল মো. সোহেল প্রমুখ।