`খড়ের বেনা’র আগুনের মত সেই ভালোবাসা পুষি’

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
0

ডা জাকরিয়া টৌধুরী :

এক দড়ায় দুই জনে’রে বান্ধুম- ছোট মামা ডিটারমাইন্ড।
আমার কাছে এসেছেন লাস্ট কনসেন্ট নিতে। তুমি কি কও ভাগিনা ? তিনি আমার দিকে অসহায়ের মত তাকালেন।

তাকিয়ে আছি আমিও। ভাবছি । দড়ি মানে রশি। দড়ি থেকে দড়া শব্দের আগমন। দড়া সম্ভবত দড়ির পুংলিঙ্গ, দড়ি স্ত্রী লিঙ্গ। আমার ধারনা ঠিক না বেঠিক তাও জানিনা। জিগেস করার উপায় নাই। যাকে জিগেস করব সে নিজেই উল্টাপাল্টা কথা বলছে। দিশা ঠিক নাই। প্রতি সপ্তাহে তার কথা শুনতে শুনতে এখন আমি তার ব্যাপারেই প্যানিকড। রাগ উঠে গেছে। রাগ উঠলে আমি গোপন করতে পারিনা। এরপরেও মানুষ চেষ্টা করে কোয়ায়েট থাকতে। রাগের একটা লেভেল পর্যন্ত চুপ থাকা যায়, সহ্য করা যায়, এটা ওটা জিগেস করা যায়। লেভেল অতিক্রম করার পর যে কাউকে যাচ্ছে তা-ই জিগেস করার সাহস সবাই রাখে না। আমি কাউকে-ই কিছু জিগেস করি না। দরকারি কথাও জিগেস করিনা। আমি বর্তমানে যে ফ্ল্যাটে আছি সে ফ্ল্যাটে যে একটা ইন্টারকম আছে আমি তাও জানতাম না। এই ফোন দিয়ে মানুষ কার সাথে কথা বলে জানিনা। একদিন প্রফেসর হেলালি বলল, তার নাম্বার…. আমি ফোন করলেই লোক পাঠিয়ে বাটি প্লেট নিয়ে যাবে। আমি অনেক্ষন তাকিয়ে রইলাম, ফোন কি মোবাইলে করব বলল নাকি ইন্টারকমে ? নাম্বারটা মোটে চার ডিজিটের। আমি ক্লিন ভুলে গেলাম। উনি তরকারিও দিলেন বাটি গুলোও খোয়ালেন। অনার্সে ভর্তির পর মনে হল, আমি কখনো ক্লাসে কারো নাম জিগেস করিনি। চলতে চলতে আস্তে আস্তে জেনে গেছি। আমার এক বন্ধু কর্নেল হয়েছে সম্প্রতি। সবার অভিনন্দন দেখে প্রথমে বুঝিনি কে সে !! আমি ত জানতাম, তার নাম রিপন। আরও বড় এবং সার নেম সহ সুন্দর যে একটা নাম আছে, সেটা জানলাম গত সপ্তাহে। আমাদের পরিচয়ের পচিশ বছরে এসে…আমার আরও অনেক সমস্যা আছে। জুতা থাকে এক পায়ে অন্য পা খালি, শার্টের বুতাম, প্যান্টের জিপার, ছেড়া কাপড়… পুরাই উদাম !! এমনকি কারো প্রেমে পড়লেও তারে কিছু বলি না। মনের মধ্যে খড়ের বেনা’র আগুনের মত সেই ভালোবাসা পুষি। আগুন এক সময় নিভে, অগ্নিগিরিও তাঁর অগ্নিরথ থামায়। আমার ভালোবাসা ? এর কোন গতি নেই, বিস্তার নেই, সত্যায়ন কিংবা অসত্যায়ন নেই। যারে তারা ভেবে ভালোবাসিলাম সে জানলে আমারে প্রত্যাখ্যান করবে, না জানলে অনুগ্রহ করবে – এমন একটা বাজে আশংকা আমি আজীবন বয়ে বেড়াই। ভালোবেসে আমি এমন জায়গায় লাঞ্চিত হয়েছি যেখানে শরীর বা স্বার্থ ছিল না। লাঞ্চনা যেন জীবনের অন্য এক স্থায়ী রুপ লাভ করেছে। এখন আর এত কিছু নিয়ে ভাবি না।


এদেশে এ সমাজে এক জাতীয় পরিবার থাকে, যেখান থেকে এসব চিন্তাধারা বহন করা একদল ক্ষয়ে যাওয়া বিপ্লবী তরুনের আগমন দেখতে পাওয়া যায়। অপুষ্টির শিকার শিশুমনো এসব বিল্পবীদের মুখে বিপ্লবের আগুন ঝড়া কথা কিছুদিন বিশ্বাস হয়। মনে হয়, কিছু একটা হলো বলে। এবার অন্তত একটা কিছু হবে। কিছুদিন আগেও যারে সব সময় রাগে আগুন হয়ে থাকতে দেখেছি, ইদানিং মনে হয় সেই আগুনেও ঘা হয়েছে, ঘায়ে আগুন ধরেছে। সে যাতনায় সে মরন চিৎকার করছে। অকালপুষ্ট মাতারীর আস্ফালন দেখেছেন কখনো!! না দেখলে কিছু শিক্ষা কখনোই মুখে শুনে কিংবা বই পড়ে হয় না। আচ্ছা বাদ দেন। কথায় ফিরি। আমার এই মামাটা জীবনে দ্বিতীয়বারের মত অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে। একবার হয়েছে শৈশবে, এখন হয়েছে সদ্য পিতা হয়ে। অসম্ভব অভাবে সে চোখে মুখে পথ খুজে পাচ্ছে না। তার শারীরিক দুর্বলতা বনাম প্রতিশোধের দৃঢ় ইচ্ছা তুলনা করলে বুঝা যায়, ঘুর্নিঝড় দুর্বল হয়ে গ্যাছে। লোকটা গায়ে গতরে আর বল পাইতেছে না। বৃদ্ধের নারীভার্যার মত অমনোহর, ক্লান্তিকর কষ্টের আর কিছু নেই। যে জানে সে কিছু করে দেখাতে পারবে না, তার’চে দুর্ভাগা আর ক’জনা আছে এ সমাজে ? তারপরেও কেউ কি কিছু স্বীকার করতে চায় ? চায় না। ভারতে বেড়াতে যাবার পর দুই দিনের পরিচিত তিয়াশা নামের মেয়েটিও জ্বলে উঠেছিল। পরের চব্বিশ ঘন্টায় সে জোয়ারে ভাটা দেখেছি। আমি অন্তত তা-ই দেখছি।

– লোহায় লোহা কাটে, আগুনে আগুন দিলে তা ছড়ায়। আগুন অনুকুল প্রতিকুল চিনেনা। আগুন সব ছারখার কইরা দেয়- লোহা গরম থাকতে থাকতেই বারি টা দিতে হয় – বুঝলা মাসুদ ? আমি কারেকশন দিয়ে বললাম, আমি মাসুদ না। তিনি শুনলেন কিনা কে জানে! বকবক তো করেই যাচ্ছেন, ‘তুমি যদি আগুন লইয়া নামো, আগুনের সেকা আগুন নিভানোর পরেও লাগতে পারে। আমার আড়াই বছর বয়সী বাচ্চাটার পুরাটা পিঠ পুইড়া গেল আগুনে। আমি তার দীর্ঘ যন্ত্রনাময় জীবন দেখলাম। বহু কষ্টে জীবিত রইলাম………… আহ হা রে…… আমার বাচ্চাটা ! ছোট মামা তার কথাটা শেষ করতে পারলেন না- মামার হাহাকারটা এক্সিডেন্ট হয়ে পরে থাকা ট্রেনের মত আমার বুকটাকে দুমড়েমুচড়ে দিল। আমি নিজ চোখে দেখেছি আমার এই ভাইটির পুড়ে যাওয়া শরীরটা। আহা সন্তান !! আমার চোখ কি কিছুটা ভিজে এলো ? বলতে ইচ্ছে হল বলি, জানেন আমারও একটা সন্তান ছিল !!!


আড়াই বছরের একটা বাচ্চার পিঠ পুড়ে গেছে আগুনে। তিনি টাকার অভাবে ভালমত চিকিৎসা করাতে পারেননি। ভাবা যায় ? না ভাবা যায় না। ঘটনার সত্যটার কি হয় তবে ? সত্য হলো শিশুটির পিঠ জুড়ে গভীর পোড়া দাগ এঁকে যায়। আর তার মরন চিৎকার সইবার মত অসীম ক্ষমতা নিয়ে সবাই জন্মে না। আমি নিজে তেমনই দুর্বল একজন।

জবাব না দিয়ে চুপ রইলাম। ইনি আমাকে মাসুদ ভেবে কথা বললেন নাকি ভুলে আমাকে মাসুদ বলে ফেলেছেন বুঝতে পারছি না। আমার নাম তো মাসুদ না। ৩৬-৩৭ বছর বয়সেই কেমন বুড়ো হয়ে গেছেন আমার ছোট মামাটা। প্রায় অশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত বোকাসোকা মানুষ। প্রতি সপ্তাহে আমার কাছে আসে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধার চায়। আমি বড় বড় ধার করে চলি। আমাদের জীবনচক্রকে বলা যেতে পারে – ধার ইকোসিস্টেম বা ধারচক্র। আমরা দুজনেই কালের যাত্রার অতলে তলিয়ে যাওয়া মানুষ। সে না জেনে তলিয়ে গেছে আর আমি জেনে শুনেই তলিয়ে গেছি। আমরা প্রতি সপ্তাহে টাকা পয়সা বিয়ে তুমুল ঝগড়ায় লিপ্ত হই। এক সময় মামা হাপাতে হাপাতে বলে – তাইলে এই সপ্তায়ও আমি চিটিং এর শিকার হইলাম এইতো !! বড় আশা নিয়া আসছিলাম। এক ফোঁটা চায়ের আয়োজন কর………

আমি কি কম যাই ? পাল্টা চিৎকার করে বলি, এইটা একটা চেম্বার, চায়ের সরাইখানা না। আমি কি এখানে চায়ের ফ্যাক্টরি বসাইছি ? আচ্ছা দাঁড়ান দেখি টি ব্যাগ আছে কিনা !! তবে আজকেই লাস্ট। এর পরে চা চাইলে বিষ সরবরাহ করা হবে। এনড্রিন। স্ট্রেইট এনড্রিন খাইয়া বাড়ি যাবেন। মামা এই বিষয়ে বিচলিত হয় না। তার চোখে স্বপ্ন চিক চিক করে।

– বুঝলা ভাগিনা, দরকার সামান্য একটু জোর। চারা গাছের গোড়ায় যেমন এক ফোটা পানি দিলেই চলে তেমনি আমার বেলাতেও সামান্য একটু শেল্টার হইলেই কেল্লা ফতে…… হা হা হা । এমন পেচ দিছি। তোমার বড় মামা আর মেঝো মামার সামনে মরন ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নাই। তুমি কি বল ? আছে কোন পথ ? আমি কি কোন কাচা কাজ করছি বইলা মনে হয় ? যদি প্রমান করতে পারো আমি একটা কাচা কাজের কাজি, তাইলে আমি সেই দড়ায় ফাস নিব।
আমি মিন মিন করে বললাম, মামা কাচাপাকা বিষয় না। আপনে ওদের সাথে পারবেন না। খামাখা হাঙ্গামা বাধাইয়েন না তো…… ওদের অনেক টাকা পয়সা। আপনি ধারে কাছে আসতে পারবেন না।

-তোমারে একজন ব্রেইনি বিচক্ষন আদমি মনে করছিলাম। কিন্তু তুমিও বোকা। বোকার বোকা, বোকার হদ্দ। তোমার মায়ের মত বোকা তুমি। মামা গজগজ করছেন।

আমি দিব্বি দেখতে পেলাম মামা রেগে গেছে। এখন আমার চেম্বারটা টম এন্ড জেরির বাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু কি করব? প্রতি সপ্তাহেই সে কোন না কোন জরুরি বিষয় নিয়া আমার সাথে আলাপ করতে আসে। ইদানিং তার সমস্যা হচ্ছে, হারানো সম্পত্তির পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত । তার ভাষায় – বড় দুই মামা তার সম্পত্তি লুটে পুটে নিয়েছে। এখন সে আসছে এইসব উদ্ধার করতে। এই বিষয়ে নাকি স্বপ্নেই ফয়সালা হয়ে গেছে। নানাজান স্বপ্ন যোগে সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন সম্পত্তি উদ্ধার করতে। মামা একটু চেস্টা করলেই কুদরতি সাহায্য এসে উপস্থিত হবে। বড় দুই মামার সামনে সমুহ বিপদ। জেল জুলুমেই ওদের বিচার শেষ হবেনা। এরপরেও শাস্তি আছে। চোখে যা দেখা যায়, শাস্তি তাতেই শেষ হয়না…. চলতেই থাকে, চলতেই থাকে…. মরন পর্যন্ত দৃশ্যমান। এরপরে শুরু রুহানি জগতের শাস্তি…. শুধু দরকার প্রাথমিক একটা ধাক্কা। কেউ একজন নিজের মনে করে এই ধাক্কাটা দিয়ে দিলেই হল। তোমার এই মামাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবেনা… এবার কথা বলছেন আস্তে আস্তে। তিনি ক্লান্ত হয়ে পরেছেন।

নানা নানি যখন একে একে মারা যান তখন ছোট মামা একেবারেই ছোট ছিলেন। তাদের জমিজমা ধন সম্পদ যথেস্টই ছিল। বড় মামা দু’জন কেউ ছোটদের দৃশ্যমান দায়িত্ত নেন নি। একটা মামা মরেছে ধুকে ধুকে। আরেকটা এখন কুদরতি সাহায্যের আশায় বিভিন্ন দরবারে মোমবাতি জ্বালাচ্ছে। এই ছোট মামার স্ত্রী মানে আমার ছোট মামি ইংরেজিতে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছেন। দুইটা সুন্দর বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন। এই বিষয়ে ছোট মামার ধারনা, এইটাও কুদরতি সাহায্য। তা না হলে এমন অযোগ্য মানুষ কিভাবে এমন স্ত্রী পায় ! তাও এম এ পাশ, ইংরেজি সাহিত্যে। একদিন তো জিজ্ঞেস করেই ফেললেন, – তুমি কি বল ? আছে আমার কোন যোগ্যতা ? অথচ দেখ তোমার মামি পড়াশোনায় তোমার বাবার সমান, নাকি ? আমি ঠিক বলছি কিনা ? চুপ থাকবা না । উত্তর দেও। আন্সার , আন্সার দেও।

আমার সেজো মামা মারা গেলেন ঢাকা রেনাল সেন্টারে। ঢাকা মেডিকেল থেকে রেনাল সেন্টারে। তার পেটে কেমন করে যেন একটা ছিদ্র হয়ে গেল। সেই ছিদ্র দিয়া সারাদিন পুজ পরে। গন্ধে ধারে কাছে কেউ যেতে পারেনা। যারা মানুষের শরীর পচা গন্ধ নিজে অনুভব করেননি তারা কেউ কল্পনা করবার চেষ্টাও করবেন না অনুরোধ করি। আমি আর ছোট মামা রাত দিন এইসব পুজ পরিস্কার করি। রাতে দুইজনে পুজ ওলা কাপড় ধুই আমার মিরপুরের বাসায়। পুজ ধুইতে ধুইতে এমন অবস্থা হয়ে গেল যে, আমার বাসার ধারে কাছে কেউ আর আসতে পারেনা গন্ধে। সব কিছুর গন্ধ এক সময় শেষ হয়। মানুষ পচার গন্ধ সম্ভবত শেষ হয়না। আমি প্রতিদিন ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তারদের অনুরোধ করি মামার অপারেশনটা করে দেয়ার জন্যে। অজ্ঞানের ডাক্তার রাজি হয়না ফিটনেস নাই বলে। কত কত অনুরোধ যে করেছি হায়….. বারবার ডাক্তারকে বলেছি- আমি লিখে দিচ্ছি, আপনার কোন দায় থাকবেনা। মামা এটা জানুক তার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত চিকিৎসা চলছিল। আমার আবেগ দিয়ে তো আর বড় ডাক্তারেরা সিদ্ধান্ত নিবেন না। তারা তাদের রেকর্ড ১০০% ক্লিন রাখবেন। অপরেশনটা কোথাও হল না। এপাড়ে না, ওপাড়েও না। ছোটো মামা বিচার চাইবার আশা ছেড়েদিয়েন এক যুগ তো হবেই। তিনি জানেন না, তার বিচার না হলেও বিচার কিন্তু হবে। অন্য কোথাও, অন্য কারো বিচার তো হবেই।

সেদিন আমি ডাক্তারদের উপর অভিমান করিনি। আমি নিজেও সেসব মাতালের দলভুক একটা হায়েনা। ভাল সেজে তক্কে তক্কে থাকি আর খেয়াল রাখি , কোন রুগিটা আমার কথা কত শতাংশ বিশ্বাস করল। যে যতটুকু বিশ্বাস করে তার বিল সে অনুপাতেই হয়। কার কি সমস্যা সেসব পরে দেখা যাবে নে। আগে তো পরিক্ষার রিপোর্ট গুলো আসুক, নাকি ?

বিঃ দ্রঃ

ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা । সেজো মামা মৃত্যুর আগের দিন বিকেলে নানান হাসি তামাসা করেছিল আমাকে অবাক করে দিয়ে। তার গা থেকে কোন পুজ বের হচ্ছিল না, গন্ধ আসছিল না। আমি কিছুটা ধন্ধে পরে গিয়েছিলাম।

পুরো এক মাসের অভিযানে আমার বড় দুই মামা কিন্তু গাড়ি ভাড়া দিয়ে তাকে দেখতে আসেননি। আমি নিজে এর স্বাক্ষী। লাশ নিয়ে যাবার পর মেঝো মামা জিজ্ঞেস করলেন, কফিন কিনতে কত খরচ হয়েছে? আমি বললাম, কফিন সহ লাশের সব কিছু মিলে পড়েছে সতেরশ টাকা। মামা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, হুম আটশ টাকা এদিক সেদিক হয়েছে।

*
নিতান্তই কাল্পনিক একটি কথোপকথন, ভাবনা, আচার বিচারের গল্প।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক দেশ জনতা ডটকম