খুলনায় পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে হেলাল : ` ‌বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিক্যাল কিলিংয়ের চক্রান্ত চলছে’

আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৩
0
file photo


খুলনা ব্যুরো:

বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিক্যাল কিলিং এর আয়োজন করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।
খুলনায় বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির পূর্বে সমাবেশে এ অভিযোগ এনে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যেভাবে মেডিক্যাল কিলিং করা হয়েছে, একই প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকেও হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে দাঁড়িয়ে এই অপচেষ্টার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি।
শনিবার (১৯ আগষ্ট) বিকেলে খুলনায় মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূ

চি পালিত হয়। নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নগরীতে স্মরণকালের বৃহত্তম গণ মিছিল করে দলটি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুল বারী হেলাল বলেন, একটি আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার সুযোগ্য সহধর্মীনী জোবায়দা রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই রায়কে ছেড়া কাগজের মতো উড়িয়ে দেবে।

আজ শনিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে খুলনা জেলা বিএনপির পদযাত্রার আগে সমাবেশে আজীজুল বারী হেলাল

হেলাল বলেন, এই সরকারের পতন সুনিশ্চিত। শেখ হাসিনা আর একটি অবৈধ ইলেকশানের পায়তারা করছে। সারা বিশ^ তাদেরকে বয়কট করেছে। আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদ পড়ে যারা আনন্দিত হচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে হেলাল বলেন, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকা, আফগানিস্তানের শাসকরা পালাতে পেরেছিল। কিন্ত বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে পালাতে দেয়া হবেনা। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে। সার্বজনীন পেনশনকে তিনি শেখ হাসিনা লুটপাটের শেষ অস্ত্র অভিহিত করে দলীয়ভাবে তা প্রত্যাখানের ঘোষনা দেন।
ডুবন্ত সরকারকে বাঁচাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন না চালাতে ও গ্রেফতার না করতে তিনি পুলিশ প্রশাসনের দাবি জানান। সেই সাথে জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ সহ সকল বন্দিদের মুক্তি দাবি করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মোঃ তারিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান, বেগম রেহানা ঈসা, এস এ রহমান বাবুল, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, আব্দুর রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ মিরাজ, এনামুল হক সজল প্রমুখ।
এর আগে মহানগরীর সকল ওয়ার্ড, থানা এবং জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিশাল বিশাল মিছিল এসে থানার মোড়ে জমায়েত হয়। সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল কে ডি ঘোষরোড, থানার মোড়, পিকচার প্যালেস. ডাক বাংলা, ফেরীঘাট মোড় হয়ে খানজাহান আলী রোড ধরে শান্তিধাম হয়ে রয়্যাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল থেকে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।