খুলনায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত

আপডেট: জুন ১, ২০২১
0

খুলনা ব্যুরোঃ
‘দুধ পানের অভ্যাস গড়ি, পুষ্টির চাহিদা পুরণ করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের ন্যায় খুলনাতে আজ (মঙ্গলবার) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত হয়। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মেধাবী প্রজন্ম গড়তে হলে তাদের পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে। আর পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিতে দুধপানের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিন নিয়মিত দুধ পান করে না। মানুষকে দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আরো সচেতন করতে হবে।

‘গোলাভরা ধান আর গোয়ালভরা গরু’ একসময় বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ছিলো উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, এক সময় গ্রামগঞ্জের প্রতিটি পরিবার ছিলো স্বনির্ভর, পুষ্টির চাহিদা মেটাতে তাদের বাজারে যেতে হতো না। কিন্তু সেই ঐতিহ্য নানা কারণে এখন আর নেই। সোনালী সেই দিন ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসময় তিনি নায্যমূল্যে নিরাপদ দুধ সকলের নিকট পৌঁছে দিতে খামারীদের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে খামারীদের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলা হয় পশুখাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু সে অনুযায়ী দুধের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। তাছাড়া তাদের উৎপাদিত দুধ সময়মত বিপনন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খামারীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল হিসেবে শিক্ষার্থীদের দুধ সরবরাহের অনুরোধ করেন। এছাড়া খুলনা আঞ্চলে একটি মিল্ক প্রসেসিং ফ্যাক্টরি স্থাপনের জোর দাবী জানান তারা।

খুলনা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম মোল্যা। স্বাগত জানান জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রণজীতা চক্রবর্ত্তী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যে মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল সিংহ রায় এবং খামারীদের পক্ষে মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন তুষার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফুলতলা উপজেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কান্তি মন্ডল। দুধের গুনাগুণ সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন ফুলতলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ তরিকুল ইসলাম।

এর আগে দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর চত্ত্বরে একটি র‌্যালি এবং গাছের চারা রোপন করা হয়।