গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কানাডা খালেদা জিয়াকে সঠিক মূল্যায়ন করেছে– ড. খোন্দকার আকবর হোসেন (বাবলু)

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
0

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন, গণতন্ত্রের জন্য আত্ম-নিবেদিত আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কানাডিয়ান হিউম্যন রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) কর্তৃক ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ এবং মানবাধিকার সংরক্ষণে ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ ক্যাটাগরিতে কানাডাভিত্তিক এ্যাওয়ার্ড পুরস্কারে ভূষিত করায়
বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও সহ মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ড. খোন্দকার আকবর হোসেন (বাবলু) আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বে অনগ্রসর জনগণের জন্য কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানসমূহকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের জন্য তাঁর নিরলস অবদানের সঠিক মূল্যায়ন করে এই সম্মাননায় ভূষিত করায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

খোন্দকার আকবর হোসেন (বাবলু) বলেন , ”সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোসহীন সংগ্রামের এক মূর্ত প্রতীক। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৮১ সালে তাঁর স্বামী স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্টপ্রতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম-এর নির্মম হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ ৯ বছরের আপোষহীন সংগ্রামে তিনি স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু দেশবিরোধী নানা চক্রান্তে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারিতে গণতন্ত্র আবারো ভুলণ্ঠিত হয়।

সে সময় থেকে আজ অবধি তিনি গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই আন্দোলনে মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় তাঁকে ২০১৮ সাল থেকে কারাবন্দী রাখা হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই দীর্ঘ যাত্রায় তিনি হারিয়েছেন তাঁর স্বামীকে; তাঁর আদরের কনিষ্ঠ পুত্রকেও। দেশবিরোধী চক্রান্তে তাঁর জ্যৈষ্ঠ পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান নির্যাতনের শিকার হয়ে আজ দেশ ছাড়া। তথাপি তিনি সংগ্রামের পথ থেকে পিছু হঠেন নি। কারাবন্দি অবস্থায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারের অসহযোগিতা ও গাফিলতিতে তিনি নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সরকারের কাছে দেশের আপামর জনসাধারণ, বিভিন্ন সংগঠন জোর দাবি জানানো স্বত্ত্বেও মানবাধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে তাঁর চিকিৎসার কোন সুব্যবস্থা করা হচ্ছে না।”

দেশে মানবাধিকার যখন চরমভাবে লঙ্ঘিত ও গণতন্ত্র ভুলণ্ঠিত সেই অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই অর্জন তাঁকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া লড়ে যাচ্ছেন একটি সুখী-সমৃদ্ব বাংলাদেশের জন্য, কোন এওয়ার্ড পাবার উদ্দেশ্যে নয়। স্বামী ও সন্তানহারা বেগম খালেদা জিয়া শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে আজীবন দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার এক আপোষহীন নেত্রী। শত বাধা, হুমকি, জেল-জুলুমেও তিনি অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকারের কাছে মাথা নত করেন নাই।

আর তাইতো আমরা অভাগা বাংলাদেশীরা তাঁর মূল্যায়ন করতে না পারলেও উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কানাডা ঠিকই দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে সঠিক মূল্যায়ন করেছে। তিনি তাঁর অকুতোভয় দেশপ্রেম, সংগ্রাম আর গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সন্মাননা দিয়েছে কানাডীয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)।

তাঁর এই বিরল সন্মানে অন্যান্য দেশপ্রেমিক জনগনের সাথে আমিও একজন গর্বিত সৈনিক। মহান আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘজীবন দান করে আবারও দেশ সেবার সুযোগ দান করুন । আমীন।