গাজীপুরের হকারদের দু:সময়

আপডেট: মে ৩১, ২০২১
0

গাজীপুর প্রতিনিধিঃগাজীপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র ভাওয়াল রাজবাড়ি ও আশপাশের এলাকার পাঠকদের হাতে পৌছে দেয়া পত্রিকার হকাররা করোনার দীর্ঘ সময় ধরে কষ্টে জীবীকা নিবার্হ করছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সংবাদপত্রের পাঠক কমে যাওয়ায় এ এলাকার অর্ধশত হকারের আয়ও কমে যায়। এতে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবন- যাপন করছেন এই সংবাদপত্রসেবীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহামারি করোনার আগে জয়দেবপুর শহর ও আশপাশের প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৪৯ জন হকার প্রতিদিন ১০ হাজরের বেশী পত্রিকা বিলি করতেন। করোনা মহামারীর কারণে তা এখন দঁাড়িয়েছে সাড়ে ৬ হাজারে। অনেক কষ্টে পত্রিকার সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছেন। সুদিনের অপেক্ষায় আছেন হকাররা। গাজীপুর পৌর সুপার মার্কেটের বারান্দায় পত্রিকা নিয়ে গ্রাহকদের কাছে পৌছে দেয়ার আগে তাদের কষ্টের কথা জানালেন।
করোনার মহামারীর কারণে বিভিন্ন সরকারি অফিস গুলোতে করোনা ছড়ানোর ভয়ে পত্রিকা রাখা বন্ধ করে দেয়। জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি অফিসে দেড় হাজার পত্রিকা বিলি করতেন হকাররা।
জয়দেবপুর পৌর সুপার মার্কেট পয়েন্টের সুপারভাইজার কাজী মো: আব্দুল মান্নান জানান, অনেক ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে এখন পত্রিকায় রাখেনা। ব্যবসায়ীরাও দোকানপাটে পত্রিকা রাখেনা। জয়দেবপুর শহরে তিন হাজার পত্রিকা কম চলে।
আনোয়ার সংবাদপত্রের বিতরণকারী ইউসুফ খান দুঃখ করে বলেন, করোনার কারণে প্রতিদিন আমাদের পত্রিকা বিক্রি কমেছে। গত দেড় বছর ধরে করোনা মহামারীর কারণে স্কুল কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ করে রাখছে সরকার। বাসা বাড়িতে পত্রিকা রাখেনা।

জয়দেবপুর শহরের হারুন পেপার হাউজের মালিক মো: হারুন অর রশিদ বলেন, করোনার প্রথম দিকে বন্ধ হয়ে গেছিল পত্রিকা। আস্তে আস্তে একটু স্বাভাবিক হওয়ার ফলে এখন কিছুটা পত্রিকা চলছে। আমরা তো চাইলেই এখন অন্য পেশায় যেতে পারি না। আমাদের দিকে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পত্রিকা মালিকদের সুদৃষ্টি কামনা করেন অন্য সবাই। তিনি আরো বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে করোনা ছড়ায় না। পত্রিকায় যদি করোনা ছড়ায় আমরা আল্লার রহমত এখনও করোনায় আক্রান্ত হই নাই। দু একজনের হকারির পাশাপাশি অন্য ব্যবসা আছে, বাকিদের পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চলে।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর।