গাজীপুরে অপহরণ চক্রের দলনেতা দুধর্ষ ফাহিম গ্রেফতার

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
0
ক্যাপশনঃ গাজীপুর ঃ গ্রেফতারকৃত অপহরণ চক্রের মূলহোতা ফাহিম ও উদ্ধারকৃত টাকা।

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরে মুক্তিপণের দাবীতে একটি অপহরণ চক্রের দলনেতা দুধর্ষ ফাহিমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে বাসন থানা পুলিশ। মহানগরীর ইটাহাটা এলাকার জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে মুক্তিপণের আদায়কৃত এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফাহিম মহানগরীর বাসন থানাধীন ইটাহাটা পূর্বপাড়া এলাকার কাজী আনিছুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার বাসন থানার ওসি মো. মালেক খসরু খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত পৌণে ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ইটাহাটা পূর্বপাড়া এলাকার মো. নুরু এর ছেলে ইশরাত আলীকে (৩৯) বন্ধুর সঙ্গে দোকানে দেখা করার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী মৃত বাবুল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম রাজু (৩২)। কিছুদুর যাওয়ার পর পথে ওৎ পেতে থাকা ফাহিমসহ কয়েক যুবক ইশরাত আলীকে ঝাপটে ধরে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে গামছা ও রশি দিয়ে তার হাত, পা, গলা ও মুখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার বাম পায়ের হাঁড় ভেঙ্গে যায়। এসময় তারা গলা কেটে খুন ও লাশ গুম করার ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। অপহৃতের পরিবার মুক্তিপণের এক লাখ টাকা অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু অপহরণকারীরা অবশিষ্ট টাকার জন্য নানা হুমকি দিতে থাকে। ইশরাতের মুখের বাঁধন হঠাৎ খুলে গেলে তিনি ডাক চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসতে থাকলে অপহরণকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি খালেক হাজীর ওই জঙ্গল থেকে গুরুতর আহত ইশরাতকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপহরণ চক্রের মূলহোতা দুধর্ষ ফাহিমকে (৩০) ইটাহাটা এলাকার জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তিপণের আদায়কৃত এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরআগে মামলার অপর আসামী রাজুকে একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ফাহিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র সহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ অপহরণ ও সন্ত্রাসী সহ নানা অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এ চক্রের সদস্যরা লোকজনকে কৌশলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে।