গাজীপুরে ধর্ষণের পর ডোবায় ফেলে মাদ্রাসার ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় মহিলা পরিষদের ক্ষোভ ও শাস্তির দাবী

আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২৩
0

গাজীপুরের পূবাইলে এক শিশুকে ধর্ষণের পর ডোবার পানিতে ফেলে হত্যা এবং একই জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি।

অদ্য ১৭ জুলাই ২০২৩ তারিখ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা যায় যে –
গাজীপুরের পূবাইলে মাজুখান বাঘেরটেক এলাকায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর ডোবার পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিহত শিশু স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী। গত ১২ জুলাই বুধবার শিশুটি বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর খুজে পাওয়া যায় নি। ঐ দিন নিহত শিশুটি প্রতিবেশী আরেক শিশু, অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ ফকির ও তাদের সাথে ডোবার পানিতে গোসল করতে নামে। প্রতিবেশী শিশুটি গোসল শেষে বাড়ি ফিরে গেলেও মাদ্রাসাছাত্রী শিশুটি ও আব্দুল্লাহ ফকির ডোবার পানিতেই ছিল। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ শিশুটিকে জোর করে ডোবার পাড়ের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সে সময় ডোবার অপরপ্রান্তে মানুষের চলাচলের শব্দ পেয়ে আব্দুল্লাহ শিশুটিকে ডোবার পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর দিন পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, উপজেলার কালামপুর খাজার ডেক এলাকার রিপনের সঙ্গে এই তরুণীর ফেসবুকে ৪-৫ মাস ফেসবুকে পরিচয় হয়। রিপন নানা কৌশলে মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে।একপর্যায়ে চন্দ্রার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে। ১৪ জুলাই গ্রামের বাড়ি থেকে ওই তরুণী চন্দ্রা আসলে তাকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে সারা দিন ঘোরাঘুরি করে। সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে একটি বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

আমরা লক্ষ্য করছি যে, নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাসমূহ ঘটেই চলেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঘরে-বাইরে কোথাও তারা নিরাপদ নয়। এ ধরণের ঘটনা নারী ও কন্যার অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে এবং তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে। এ ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে এবং উপরোল্লেখিত ঘটনাসমূহে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার আহবান জানাচ্ছে।