গাজীপুরে ধর্ষণের পর ডোবায় ফেলে মাদ্রাসার ছাত্রীকে খুন, গ্রেফতার এক

আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২৩
0
ক্যাপশনঃ গাজীপুর ঃ পূবাইলে মাদ্রাসার ছাত্রী এক শিশুকে ধর্ষণের পর ডোবার পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত যুবক আব্দুল্লাহ ফকির। ###

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর \ গাজীপুরের পূবাইলে মাদ্রাসার ছাত্রী এক শিশুকে ধর্ষণের পর ডোবার পানিতে ফেলে হত্যা করেছে প্রতিবেশী এক যুবক। ঘটনার পরদিন পুলিশ ওই শিশুর লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করে। এঘটনায় পুলিশ ধর্ষক যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত যুবকটি ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রবিবার জিএমপি’র পূবাইল থানার ওসি জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশু নূপুর আক্তার (৮) গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন মাজুখান বাঘেরটেক এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে এবং স্থানীয় এক মাদ্রাসার ছাত্রী। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ ফকির (২০) বাগেরহাটের মোল্লারটেক থানার কাচনা গ্রামের আব্দুল আলীম ফকিরের ছেলে।

জিএমপি’র পূবাইল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিল্টন কুন্ডু এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, গত বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে আইসক্রিম খেতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় নূপুর আক্তার। সে বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায় নি। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাঘেরটেক এলাকায় একটি ডোবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে আবুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মেয়ে নূপুরের লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এঘটনায় নিহতের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে পূবাইল থানায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে মামলা দায়ের করেন।

পূবাইল থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় শনিবার (১৫ জুলাই) ভোরে স্থানীয় মাজুখান এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আব্দুল্লাহ ফকিরকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করে। পরে তাকে ওইদিনই (শনিবার) আদালতে পাঠানো হলে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিজেকে জড়িয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আব্দুল্লাহ জানায়, ঘটনার দিন নূপুর আক্তার ও তার প্রতিবেশী মরিয়ম (১৩) এবং আব্দুল্লাহ সকলেই ওই ডোবার পানিতে গোসল করতে নামে। মরিয়ম গোসল শেষে বাড়ি ফিরে গেলেও নূপুর এবং আব্দুল্লাহ ডোবার পানিতেই ছিলো। একপর্যায়ে নূপুরকে ডোবার পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ কওে আব্দুল্লাহ। সেসময় ডোবার অপর প্রান্তে মানুষ চলাচলের শব্দ পেয়ে নূপুরকে ডোবার পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষক ও ঘাতক আব্দুল্লাহ ফকির । এতে পানিতে ডুবে মারা যায় ধর্ষণের শিকার নূপুর। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ ফকির গাজীপুরে পূবাইলের মাজুখান পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।