গাজীপুরে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জের মৃত্যু

আপডেট: জুন ৬, ২০২৩
0
file photo

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর \ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পুলিশ ক্যাম্পে ইনচার্জ পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৭) মারা গেছেন। মঙ্গলবার পুলিশ ক্যাম্পের সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোয়াজ্জেম হোসেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার বাদে আমজাদি গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে।

জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আসামি আনা নেওয়ার জন্য কারাক্যাম্পাসের আসামী স্কোয়াডে পুলিশ সদস্যদের একটি ক্যাম্প (ব্যারাক) আছে। চারতলা ভবনের ওই ব্যারাকটিতে পুলিশের ২৩ জন সদস্য কর্মরত আছেন। ওই ব্যারাকের ইনচার্জ ছিলেন মোয়াজ্জেম। তিনি চারতলার একটি কক্ষে থাকতেন। সোমবার (০৫ জুন) জেএমবি স্কট ডিউটি শেষে বিকেলে মোয়াজ্জেম হোসেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ক্যাম্পে আসেন। ক্যাম্পে ফেরার পর সবাই বিশ্রামে চলে যান। এসময় প্রচন্ড গরমের কারণে তিনি ক্যাম্পের বিল্ডিংয়ের ছাদে যান খোলা আকাশের নীচে বাতাসে শীতল হতে। রাত পেরিয়ে গেলেও তার সাড়া শব্দ পাওয়া যায় নি। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সহকর্মীরা তাকে রুমে না পেয়ে খেঁাজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ক্যাম্পের ছাদে যাওয়ার সিঁড়িতে ইউনিফর্ম পড়া অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে দ্রুত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মোয়াজ্জেম হোসেন’কে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রচন্ড গরমে ‘হিট স্ট্রোকে’ আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। পবিত্র হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে আগামী ১২ জুন তাঁর মক্কায় যাওয়ার কথা ছিল। গত ২২ মে তিনি বদলী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে আসেন। এর আগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, তার মৃত্যুতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তার আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীওে আঘাতের কোন চিহ্ন ছিল না।

কাশিমপুর কারগার-২এর ডেপুটি জেলার স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘ব্যারাকটি কারাগারের হলেও আসামি আনা-নেওয়ার সুবিধার্থে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদস্যরা এখানে থাকছেন। তাঁরা নিজেরাই এটার দেখভাল করেন। তাই বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।
০৬/০৬/২০২৩ ইং।