গাজীপুরে বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে শিশু অপহরণ,চাচা-চাচী আটক

আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২৩
0
ক্যাপশনঃ গাজীপুর ঃ মায়ের কোলে শিশু রিয়াদ।

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর \ গাজীপুরে ৮মাসের এক শিশুকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় শিশুটির চাচা-চাচীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রবিবার জেলা শহরের বাঙ্গালগাছ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসি ও পুলিশ জানায়, গাজীপুর শহরের বাঙ্গালগাছ এলাকার রাজমিস্ত্রির সহকারি রহিম উদ্দিন (৫০) প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রায় দেড়বছর আগে পার্শ্ববর্তী কানাইয়া গ্রামের হাবিবা আক্তারকে বিয়ে করেন। গত ৮মাস আগে তাদের সংসারে রিয়াদ ওরফে রোহানের জন্ম হয়। রবিবার বিকেলে বাসায় বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। পাশেই শোয়ায়ে তার ৮মাসের শিশু সন্তান রিয়াদ ওরফে রোহানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিলেন স্ত্রী হাবিবা আক্তার। এসময় ঘরে আসেন রহিম উদ্দিনের পার্শ্ববর্তী বাড়ির চাচাতো ভাই মাসুদের স্ত্রী জাকিয়া। তারা কিছু সময় গল্প করেন। এসময়ে জাকিয়ার কথা অনুযায়ী শিশুটিকে কাপড় পড়িয়ে তার কোলে দেন হাবিবা। পরে শিশুটিকে নিয়ে বের হয়ে যায় জাকিয়া। বেশকিছু সময় শিশুটিকে ফেরত না আনায় তার বাবা-মা’ শিশুটির খোঁজে জাকিয়ার ঘরে যান। এসময় জাকিয়াকে শিশু রিয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সে রহিম উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়া ও শিশু রিয়াদকে নেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকার করে। জাকিয়ার অস্বীকারের কারনে শিশুটির বাবা-মায়ের কান্নাকাটি শুরু করে দেন। এতে আশেপাশের লোকজন ভীড় জমান। তারা শাশুটিকে আশেপাশে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য জাকিয়া ও তার স্বামী মাসুদসহ স্থানীয়দের নিয়ে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালালেও রাত ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।

তারা আরো জানান, প্রায় বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সৌদী প্রবাসী মাসুদের সঙ্গে পরিচয় হয় জাকিয়ার। এসময় জাকিয়া নিজেকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেয়। গত প্রায় দেড় বছর আগে পরিবারের সকলের অমতে জাকিয়াকে বিয়ে করেন মাসুদ। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে থেকেই নিয়মিত কর্মস্থলে আসা যাওয়া করতেন জাকিয়া। তার চলাফেরা সন্দেহ জনক হওয়ায় স্বজনেরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এক চিকিৎসকের মাধ্যমে রাজধানীর একটি হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন জাকিয়া। জাকিয়ার তার গ্রামের বাড়ি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলায় বললেও সঠিক ঠিকানা জানা নেই কারো। সে শিশু চুরি চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

জিএমপি’র সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকিয়াসহ মাসুদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। শিশুটিকে উদ্ধার করতে পুলিশের একাধিক টিম রাতেই কাজ শুরু করেছে। আটককৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের টিম রাতে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শিশুটিকে শীঘ্রই উদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশা করছি।