গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ অব্যাহত

আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২৩
0

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরে বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শ্রমিক আন্দোলনের নবম দিন বুধবারেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিল্প কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় এদিন আন্দোলনরতদের তান্ডবতা তেমন একটা চোখে পড়ে নি। এদিন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।

বুধবার গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় বিক্ষোভ করে। এসময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা বাইপাস (নাওজোর-ভুলতা) সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরতদের মহাসড়কের উপর থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকালে স্থানীয় রুয়া ফ্যাশন নামের গার্মেন্টস কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করতে থাকে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মরত শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দিয়ে ছুটি ঘোষণা করে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ করলেও তেমন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায় নি।

এদিকে ধ্বংসাত্বক আন্দোলন পরিহার করে সকলকে কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য গাজীপুর মেট্রো চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের সাবেক মেয়র এডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলমের মঙ্গলবারের আহবানের প্রেক্ষিতে গত কয়েকদিনের তুলনায় বুধবার শ্রমিকদের আন্দোলন অনেকটা প্রশমিত হয়। ওই আহবানের পর এদিন স্বল্প সংখ্যক শ্রমিকরা তাদের দাবীর সমর্থনে আন্দোলনে মাঠে নামে। বুধবার সকাল থেকেই পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক জানান, গত ২৩ অক্টোবর থেকে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকেরা। নবম দিনের মতো বুধবারও শ্রমিকরা আন্দোলন বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। এদিন তারা উত্তেজিত হয়ে ভাংচুর ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।
০১/১১/২০২৩ ইং।