স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরে বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে ৭মাসের এক শিশুকে অপহরণের ১০ ঘন্টার মধ্যে বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এঘটনায় শিশুটির চাচীকে তার বোনসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার জিএমপি’র উপ-কমিশনার আবু তোরাব মোঃ শামসুর রহমান তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বগুড়া জেলা সদর থানার চকসূত্রাপুর এলাকার জাহাঙ্গীরের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা জান্নাত (২৩) ও জাকিয়ার ছোট বোন রাকিবা আভান আঁখি (২১)। এদের মধ্যে জাকিয়া ওই শিশুটির চাচা গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন বাঙ্গালগাছ এলাকার মাসুদের স্ত্রী।
জিএমপি’র উপ-কমিশনার জানান, রবিবার দুপুরের পর গাজীপুর শহরের বাঙ্গালগাছ এলাকার রাজমিস্ত্রির সহকারি রহিম উদ্দিন (৫০) ও তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার তাদেও ৭মাস বয়সের শিশু সন্তান রিয়াদ হোসেন ওরফে রোহানকে নিয়ে বাসায় বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন। এসময় ঘরে আসেন রহিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মাসুদের স্ত্রী জাকিয়া। কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় সে।
বেশকিছু সময়েও শিশুটিকে ফেরত না আনায় তার বাবা-মা জাকিয়ার কাছে যান। তারা জাকিয়াকে শিশু রিয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এসময় সে রহিম উদ্দিনের বাড়িতে যাওয়া ও শিশু রিয়াদকে নেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকার করে। জাকিয়ার অস্বীকারের কারনে শিশুটির বাবা-মায়ের কান্নাকাটি শুরু করে দেন। এতে আশেপাশের লোকজন ভীড় জমান।
পরে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সহকারি পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। এসময় জাকিয়ার অসংলগ্ন কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শিশু রিয়াদকে অপহরণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে জাকিয়া। এসময় সে জানায় তার বোন আঁখির মাধ্যমে শিশুটিকে বগুড়ায় পাচার করা হয়েছে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সহকারি পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদের নেতৃত্বে একটি টিম রাতেই বগুড়ায় গিয়ে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে অপহরণের ১০ ঘন্টার মধ্যে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী জাকিয়া ও তার বোন আঁখিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা শিশু অপহরণকারী দলের সক্রিয় সদস্য বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।