গৃহশ্রমিক হাজেরা বেগমকে নির্যাতনে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের

আপডেট: আগস্ট ১, ২০২১
0

রাজধানীর রামপুরায় গৃহশ্রমিক হাজেরা বেগমকে নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের

রাজধানীর রামপুরায় হাজেরা বেগম (৩০) নামের এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একই সাথে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করে এ ধরনের ঘটনা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্ববান জানাচ্ছে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, হাজেরা বেগম রাজধানীর রামপুরার নিঝুম এলাকায় একটি বাসায় গত তিনমাস ধরে চিত্রনায়িকা একার বাসায় খন্ডকালীন কাজ করে আসছেন। শনিবার দুপুরে ঘরে থাকা না থাকা ও অতিরিক্ত কাজ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নায়িকা একা তাকে কাজ করতে হবে না বলে জানান। গৃহকর্মী হাজেরা তখন তার বকেয়া বেতন চাইলে একা রেগে গিয়ে হাজেরাকে আঘাত করেন, এতে তার ডান হাত ও মাথায় আঘাত লাগে। বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশের লোকজন ৯৯৯ ফোন করে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে হাতিরঝিল থানার পুলিশ সন্ধ্যে ৭ টায় হাজেরা বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকের উপর নির্যাতন, হত্যা, ও মানবাধিকার লংঘনের মতো প্রভৃতি ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে গেছে। গৃহশ্রমিক হিসেবে যেমন তাদের রয়েছে কিছু ন্যায্য অধিকার তেমনি রয়েছে মানুষ হিসাবে মর্যাদা পাবার অধিকার। এই করনাকালীন সময়ে গৃহশ্রমিকরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে তেমন কোন সাহায্য বা সহযোগিতা পায়নি এবং তাদের একটা বড় অংশই চাকুরিচ্যুত এবং কর্মহীন। ফলে তাদের বেঁচে থাকাটাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে তাদের উপর এই ধরনের সহিংসতার ও নির্যাতনের ঘটনা অমানবিকতার চরম নিদর্শন। সুতরাং এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক।

গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক আরও মনে করছে, সম্প্রতি সরকার ঘোষিত ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশে একের পর এক অনাকাঙ্খিত কারণে গৃহশ্রমিকের মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তাই গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক অবিলম্বে নীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্ববান জানাচ্ছে।