গোপন তথ্য’ ফাঁসকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: জুলাই ৮, ২০২৩
0

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের কিছু ‘গোপন তথ্য’ ফাঁস হওয়ার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বর্ণনা করে এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এটি জাতীয় স্বার্থের কোনো ক্ষতি করেনি, তবে কারা এই অপকর্মটি করেছে আমরা তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’

শনিবার (৮ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’-এ যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মোমেন বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলেই তারা ব্যবস্থা নেয়।

তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অনেক সময় এমন কিছু বিষয় প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে যা প্রকাশ্যে আনার কথা ছিল না। এটা খুবই দুঃখজনক। যারা এই গোপন নথিগুলোর সাথে জড়িত, তাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, অন্য দেশে কেউ পূর্বানুমতি ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র দেখতে পারে না।

উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, কেউ পূর্ব অনুমতি ছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে প্রবেশ করতে পারে না।

মোমেন বলেন, ‘এখানে (বাংলাদেশে) যেকোনো সময় মানুষ রুমে ঢুকে পড়ে। আমরা এখনো এটি করতে পারিনি (অন্যান্য দেশের মতো বিধিনিষেধ)। হয়তো ভবিষ্যতে আমরাও এটা করব।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে দেশের অনেক নাগরিকের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচিতি নম্বরসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মারকোপাওলোস এমন দাবি করেছেন।

মারকোপাওলোস বলেছেন, গত ২৭ জুন হঠাৎ করেই তিনি ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো দেখতে পান। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সার্ট) সাথে যোগাযোগ করেন।

মারকোপাওলোসের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি