ঘরে বসে মানুষ ইন্টারনেট দেখে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে ও সক্ষমতা বেড়েছে: ডিএমপি কমিশনার

আপডেট: জুলাই ২০, ২০২১
0

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, সম্প্রতি জঙ্গিদের তৎপরতা ও সক্ষমতা কিছুটা বেড়েছে। তবে আমরাও বসে নেই। সোমবার ঈদুল আজহা ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সম্প্রতি জঙ্গিবাদী তৎপরতা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপির এই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের বাইরে যাবার সুযোগ সীমিত হয়ে এসেছে। বিনোদনের সুযোগও কমে গেছে। এই সময়ে অনেকেই ঘরে বসে ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা দেখে জঙ্গিদের ট্র্যাপে পড়ে যাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রেও আমরা নিয়মিত নজরদারি করছি। যথাযথ নজরদারি না হলে বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। কিন্তু আমরা এসব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গিদের তৎপরতা ও সমতা কিছুটা বেড়েছে। জঙ্গিদের বোমা তৈরির ক্যাপাবিলিটি কিছুটা বেড়েছে। তবে পুলিশও বসে নেই। পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আমরা সম্প্রতি জঙ্গিদের পৃথক দুটি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ফলে এই ঈদে জঙ্গিদের হামলার কোনো আশঙ্কা নেই।

এর আগে ৫টি পুলিশ চেকপোস্টে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। যেসব বোমা কম শক্তিশালী ছিল। রিসেন্টলি যেসব বোমা উদ্ধার হয়েছে, তা অত্যন্ত শক্তিশালী। এগুলো বিস্ফোরণ হলে বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেত।শফিকুল বলেন, তাদের সক্ষমতা বেড়েছে এবং নতুন লোককে প্রশিক্ষিত করে তারা বোমা বানানোর কাজে নিয়োজিত করেছে। এটা থেকে বুঝা যায়, তাদের প্রস্তুতি আছে।

তবে জঙ্গিদের তৎপরতা প্রতিরোধে দেশের পুলিশও সক্রিয় রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, কিন্তু আমরাও বসে নেই। কোনো ঘটনা ঘটার আগেই আমাদের প্রশিক্ষিত যারা আছেন তারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। যেখানে যতটুকু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

ঈদের সময় ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, যারা ঢাকার বাইরে গ্রামের বাড়ি যাবেন, তারা ঘরের নিরাপত্তার জন্য দরজা জানালা ঠিকমতো লাগিয়ে যাবেন এবং মূল্যবান সামগ্রী স্বজনের বাসায় রেখে যাবেন।