ঘুষ নেয়ার অভিযোগে জনতার রোষে অবরুদ্ধ নাগেশ্বরী কর্মসংস্থান ব্যাংক ব্যবস্থাপক : রবিবার টাকা ফেরতের আশ্বাস

আপডেট: মে ২৮, ২০২১
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে কর্মসংস্থান ব্যাংক ব্যবস্থাপককে দিনভর অবরুদ্ধ করে
রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে ওইদিন বিকেল ৫ টায় পুলিশের মধ্যস্থতায় রবিবার টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলে
শান্ত হয় পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার নাগেশ্বরীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেকারদের অর্থ সহায়তা দিয়ে ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে উৎসাহীত করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান
ব্যাংক ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋণ কর্মসুচী চালু করলেও নাগেশ্বরী শাখায় এ সহায়তা পেতে তাদের মোটা অংকের
ঘুষ দিতে হয়। অভিযোগ আছে, সিনিয়র অফিসার তৌফিককে দিয়ে এ ঘুষ গ্রহণ করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপক
মিজানুর রহমান। কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন টালবাহনায় তাদের ঋণ দেওয়া হয় না। অনেক সময় ঘুষ
ও জমির দলিল নিয়ে অনেককে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে ঋণ না দেয়ার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।
৯৫ হাজার টাকা ঘুষ ও জমির দলিল দিয়েও অবশেষে ঋণ না পাওয়া ৪ জন ক্ষুদ্র ব্যবায়িক ও শিল্প উদ্যোক্তা
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়ার ফরিদুল ইসলাম, শামিমা নাসরিন,নাগেশ্বরীর কামারপাড়ার মাসুদ রানা ও অভি
আমিনুল ডিজিটাল স্টুডিওর আমিনুল ইসলাম বলেন সিনিয়র অফিসার তৌফিক তাদের ঋণ দেয়ার কথা বলে
ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের দোহাই দিয়ে ফরিদুল ইসলামের নিকট ৩২ হাজার, শাামিমা নাসরিনের নিকট ৩৫
হাজার, মাসুদ রানার নিকট ২০ হাজার ও আমিনুল ইসলামের নিকট ৮ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। পরে আজ-
কাল করে তাদের ঋণ না দিয়ে ঘোরানো হয়।
ব্যাংকে গিয়েও বেশিরভাগ সময় দেখা পাওয়া যায় না সিনিয়র অফিসার তৌফিকের। ব্যবস্থাপককে বিষয়টি
জানালে তিনি বলেন তৌফিক এলে তাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু কখনো তা করেননি। বৃহস্পতিবার
(২৭ মে) সকালে তারা সবাই ব্যাংকে গেলে ব্যবস্থাপক মিজানুর সিনিয়র অফিসার তৌফিকের সাথে কোন কথা
না বলে কৌশলে ব্যাংক থেকে তাকে সরিয়ে দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে তারা ব্যাংক ব্যবস্থাপক মিজানুরের
নিকট তাদের ঘুষের টাকা ও জমির দলিল ফেরৎ চেয়ে ব্যাংকের বাইরে অবস্থান নেয়। এভাবে তারা সারাদিন
বাইরে বসে থাকেন।
এই ঘটনায় খবর পেয়ে বিকেল ৫ টায় পুলিশ আসলে ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান রবিবার সিনিয়র অফিসার
তৌফিককে ব্যাংকে উপস্থিত করে তাদের ঘুষের টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে এস.আই বিনয় চন্দ্র বলেন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে পরিস্থিতি
শান্ত করেছি।
ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় পুলিশ ব্যাংকে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত
হয়। রবিবার সিনিয়র অফিসার তৌফিককে ব্যাংকে উপস্থিত করে তাদের ঘুষের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা
হবে।
####/
আমিনুর রহমান বাবু