চট্টগ্রামে চকবাজার কলেজপাড়া এলাকায় “ওয়েল ক্যাফে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে” ভোক্তা অধিকারের অভিযান- ২০ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেট: মার্চ ৮, ২০২২
0

মো. আনোয়ার হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যস্ততম এলাকা চকবাজার । এই এলাকা মূলত কলেজ পাড়া নামে পরিচিত। এ এলাকায় রয়েছে প্রায় ১০-১৫ টি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে। এই রেস্টুরেন্টের নামে চলে আলো-আঁধারিতে অনৈতিক কর্মকান্ড, যা ছাত্র-ছাত্রী সহ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।

এই রেস্টুরেন্ট গুলো দিবা-রাত্রির বেশির ভাগ সময়ই থাকে আলো-আঁধারির খেলা। এই আলো-আঁধারিতেই চলে তরুণ-তরুণীদের ‘অন্য রকম’ প্রেমের আদান-প্রদান, সাথে উলঙ্গপনা এমনকি নিজের ইচ্ছেমতো অনৈতিক কর্মকান্ড করার সুবিধা।

চকবাজারের এইসব রেস্টুরেন্টে খেতে আসার নাম করে তরুণ-তরুণীরা, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের আনাগোনা নিত্য নৈমিত্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮মার্চ ) চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস জাহান এর তথ্যের ভিত্তিতে “ওয়েল ক্যাফে” চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হাতেনাতে ৪ জন কলেজ ছাত্র-ছাত্রী এবং দেবর-ভাবী নামধারীকে ধরে চকবাজার থানায় নিয়ে আসা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার। পরে তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। অনৈতিক কর্মকান্ডে প্রমান পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার চকবাজার ওয়েল ক্যাফে চাইনিজ রেস্টুরেন্টকে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ওয়েল ক্যাফে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো. ফারুক অঙ্গিকার করেন তিনি আর এই রেস্টুরেন্টে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে দিবেন না। সেই সাথে ম্যানেজার ফারুক অবৈধ কাপড় দিয়ে ঘেরা অপসারণ করেন, অবৈধ চৌকি নিজ থেকে ভেঙে ফেলেন।

এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন, ভোক্তা অধিকারের উপ পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ্, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান, সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন এবং চকবাজার থানার এসআই রাজীব এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স।

চট্টগ্রামের আলোচিত এই চায়নিজ রেস্টুরেন্টগুলো হল চকবাজারে অবস্থিত কাশবন রেস্টুরেন্টের উপর তলায় “ওয়েল ক্যাফে”, চকবাজারে ” রেড রোজ, অলিখাঁ মসজিদ সংলগ্ন “ক্যাস ক্যাড”, চকবাজারে ” কফি আউল্যান্ড” সহ অন্তত ১০ থেকে ২০ টি মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর নামে আলো-আঁধারির খেলায় অনৈতিক কর্মকান্ড চলে আসছে।

অভিযান পরিচালনায় দেখা যায় চৌকি গুলো কাপড় দিয়ে ঘেরা, বাতিগুলো নিভানো অবস্থায় এবং মৃদু সাউন্ড বক্সের গানে গানে অবৈধ কর্মকান্ড চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

অভিযানে আরো দেখা যায়, মেঝেতে কনডম ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থায়, যৌন উত্তেজক ঔষধ ও পাওয়া যায়। নামে কিচেন ঘর থাকলে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখা যায়।

এই ব্যাপারে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস জাহান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান চকবাজার থানার আওতাধীন এলাকায় সরকারী যে কোনো সংস্থা, যে কোনো অবৈধ কার্যক্রম পরিচালিত করলে চকবাজার থানা অবশ্যই সার্বিক সহয়তা করবে।