চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গবেষণার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট: মার্চ ৩, ২০২২
0

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গবেষণার জন্য দেশের বিজ্ঞান গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানুষের দেওয়া রাজস্ব থেকে ফেলোশিপ/গবেষণা অনুদান দিচ্ছি।

আপনাদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনাদের উদ্ভাবনী জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ যেন মানুষের কল্যাণে হয়। যেসব গবেষণার জন্য এসব ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে, তার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখবেন বলেও জানান।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসসি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।

সরকার প্রধান বলেন, সরকার দেশ-বিদেশে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমএস, এমফিল, পিএইচডি, ও পিএইচডি-উত্তর প্রোগ্রামের জন্য বঙ্গবন্ধু ফোলোশিপ দিচ্ছে।

২০১০-১১ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫৯৬ জনকে ২২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা দিয়েছি। এছাড়াও এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর পর্যায়ে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২২ হাজার ২২০ ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে ১৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ দেযা হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৫ হাজার ২০টি প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বিশেষ অনুদান দেয়া হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল কলেজ আমরা খুলে দিয়েছি। এখন স্বাভাবিক ভাবেই চলবে।

সেই সঙ্গে টিকাও এবং আমরা প্রাইমারি পর্যন্ত টিকা কোন বয়স পর্যন্ত টিকা দেওয়া যেতে পারে। আমরা ১২ বছর পর্যন্ত দিচ্ছি। ডব্লিউএইচও’র কাছে ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে, আরও অল্প বয়সের শিশুদের জন্য টিকা দেওয়ার অনুমতির জন্য। আমার মনে হয় এটা এসে যাবে। কাজেই আমরা তখন মনে হয় সবাইকে টিকা দিতে পারবো। যদি ৭-৮ বছর থেকে বা ১০ বছর থেকে টিকা দিতে পারি, তাহলে আমাদের প্রাইমারিতে আর কোনও অসুবিধা হবে না। তারা নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা স্কুল খুলে দিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে তাদের সুরক্ষাটা একান্তভাবে দরকার এবং আমরা সেটা করবো।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামীদিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেন সবাই প্রযুক্তি জ্ঞান সস্পন্ন হয়। কিছুটা হলেও যেন তারা প্রযুক্তির বিষয়ে জানে।’

গবেষণা না থাকলে আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারতাম না। এ জন্য আমি গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিই। বিশেষ করে বিজ্ঞান আর মেডিক্যাল সায়েন্সের গবেষণা। মেডিক্যালের ওপর আমাদের গবেষণা কিছুটা কম। সেখানে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। বেশি করে আমাদের গবেষণা করতে হবে। গবেষণাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

দেশের প্রায় সত্তর ভাগের কাছাকাছি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকা এখন সবাইকে নিতে হবে। এর আগে আমি দেখেছি অনীহা। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি মানুষের ভেতরে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।