চরফ্যাশনে চলছে গণপরিবহন, খুলছে দোকানপাট, জনমনে স্বস্তি!

আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২১
0

মোঃ সিরাজুল ইসলাম
চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত চরফ্যাশন উপজেলাসহ সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) শিথিল হয়েছে।

ফলে আজ থেকে চরফ্যাশন উপজেলায় চলাচল করতে শুরু করেছে বাস সহ সব ধরনের গণপরিবহন। এছাড়াও খুলছে শপিংমল এবং দোকানপাট।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভোর ৪ টার দিকে চরফ্যাশন বাস টার্মিনালসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চরফ্যাশন থেকে নিয়মিত বিরতিতে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস। চরফ্যাশন থেকে ভোরে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য বাস ছেড়ে যায়। চলাচল করছে আঞ্চলিক সড়কের বাসগুলোও।

এছাড়াও পৌরসভার গুরুত্বাপূর্ণ সড়কগুলোতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রয়েছে যানবাহনের চাপ। চাকরিজীবী ও শ্রমজীবীরা ছুটছেন নিজ কর্মস্থলের দিকে। গাড়ির হর্ন আর রিকশার বেলের শব্দে পৌরসভা ফিরেছে তার পুরনো রূপে। সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।

এর আগে বিধিনিষেধ শিথিল করে গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়ছে। ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে এ সময় সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্ক থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়িয়ে অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়।

আগামী ২১ জুলাই দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তবে ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

বিধিনিষেধ শিথিলের পর গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করার শর্ত দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে যাত্রীকে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুণতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে যাত্রীসহ পরিবহন শ্রমিকদের। রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। লঞ্চের ক্ষেত্রে ডেকের যাত্রীদের মার্কিং অনুযায়ী বসতে হবে। এই আটদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিকভাবেই চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অপর নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তার রোধে এ সময়ে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ সময়ে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রে গমন ও জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন- বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে।