মোঃ সিরাজুল ইসলাম
চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিনিধিঃ
চরফ্যাসন ভোলা প্রতিনিধি।
চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের শিশু কন্যার মৃত্যুর শোকে মানুষিক বিকারগ্রস্ত দুই সন্তানের জননী ফহিমা বেগম(৩০) নামের এক গৃহবধুর ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাবার বসত ঘরের আড়াঁর সাথে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করেন দুলারহাট থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধু একই গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান,নিহতের স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী শাহাবুদ্দিন পেশায় জেলে। ১২ বছর আগে একই গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী শাহাবুদ্দিনের সাথে নিহত ফাহিমার পরিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। নিহত ফাহিমা দুই সন্তানের জননী ছিলেন। গত মাসে তার ৮ বছরের শিশু কন্যা মারিয়া পানিতে পরে মারা যায়। শিশু কন্যার মৃত্যুর শোকে তিনি মানুষিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পরেন। তার বাবা মাইনুদ্দিন মানুষিক বিকারগ্রস্ত মেয়ে ফহিমাএবং তার অপর ৬ বছরের শিশুকন্য ফারজানাকেসহ তার বাড়িতে নিয়ে যান। বাবার বাড়িতে রেখেই তার চিকিৎসা চলছিলো।
ঘটনার দিন দুপুরের তিনি পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বসত ঘরের আড়ার সাথে নিজের পরিদয়ের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। দুলারহাট থানা পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। শিশু কন্যার মৃত্যু শোকেই বিকারগ্রস্ত মাহিমা আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুলারহাট থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের স্বজনদের ভাষ্যমতে, তার শিশু কন্যার মৃত্যুর পর থেকেই তিনি মানুষিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।