চলে গেলেন ভূরুঙ্গামারী প্রবীন সাংবাদিক মোক্তার হোসেন সরকার

আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২১
0

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি মোক্তার হোসেন সরকার শনিবার(১৪ আগষ্ট) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ——- রাজেউন) । মৃতকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।
তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিব নগর কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তার নাম ছিলনা। হসর্বশেষ অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন।
মোক্তার হোসেন সরকার ১৯৪৭ সালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম কেতাব উদ্দিন সরকার। তিনি ১৯৬৭ সালে ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করেন। একই বছর মোকছেদা বেগম লাইলীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে তিনি ম্যালেরিয়ায় ইরেডিকেশন প্রোগ্রামে কর্ম জীবন শুরু করেন।ভূরুঙ্গামারী ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। মাধ্যমিকে পড়াকালে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ১৯৯১ সালে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ধরলা ও বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকায় কাজের মধ‍্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি দৈনিক খবর, বায়াস্কোপ, আজকের কাগজ,দৈনিক দিনকাল ও দৈনিক কুড়িগ্রাম খবর পত্রিকায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ক্রাইম পেট্রল বিডি ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া দৈনিক বগুড়া, উত্তরকোণ, জনকণ্ঠ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় তার বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশিত হয়।
মোক্তার হোসেন সরকার ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি একবার ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, চার কন্যা ও এক পুত্র সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিন কন্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এক কন্যা চিকিৎসক এবং কনিষ্ঠ পুত্র প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।
আগামীকাল রবিবার (১৫ আগষ্ট) সকালে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
####
আমিনুর রহমান বাবু