বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মৃত্যুর ১৪ বছর পরও এ নায়কের মৃত্যু নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। অভিযোগ ছিলো চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যু হয় মান্নার।
২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৩ বছর বয়সে মারা যান সুপারস্টার মান্না। মৃত্যুর কয়েকমাস পর ১৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকদের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে-এমন অভিযোগে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার শ্যালক রেজা কাদের। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি এ মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসমর্পণ করলে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে স্বাক্ষর করে জামিন লাভ করেন।
এরপর ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ওই ছয় ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বিচারাধীন ছিল। সম্প্রতি মান্নার পরিবার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বুকে ব্যথা অনুভব করায় ভোর ৪টায় মান্না রাজধানীর একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসেন সকাল ৯টায়। চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ায় ‘অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশনে’ আক্রান্ত হন ও পরে তার মৃত্যু হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার মুশফিকুল হুদা বলেন, এ মামলাটি একাধিকবার শুনানি হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।
একযুগ পরও স্বামীর মৃত্যুর বিচার না পাওয়ায় হতাশার পাল্লাই ভারি হয়েছে মান্নার স্ত্রী শেলী কাদেরের। তবুও বিচারের আশায় বুক বেঁধে আছেন তিনি। দেশসেরা নায়কের অবহেলাজনিত মৃত্যুর বিচার হোক, বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হোক তাদের- এমনটাই প্রত্যাশা মান্না ভক্তদের।