চিরুনি অভিযানে এডিস নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদী; সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান– মেয়র তাপস

আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২১
0

চিরুনি অভিযানে এডিস নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। পাশাপাশি তিনি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান।

আজ সকালে খিলগাঁওয়ের পিডব্লিউডি কলোনিতে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমাদের এলাকায় যে সরকারি আবাসনগুলো আছে, আমরা তাদেরকে বারবার চিঠি দিয়েছি, সতর্ক করেছি। আমরা বলেছি যেন তারা সেগুলো পরিষ্কার করেন। আপনার লক্ষ্য করেছেন, আজকেও আমি পরিদর্শনে এসে দেখলাম – এখানে লার্ভা পাওয়া গেছে। এটি আসলে খুবই দুঃখজনক। আমরা যদি নিজেরা নিজেদের এলাকা পরিষ্কার-পরিছন্ন না রাখি, উৎসগুলো নিধন না করি, কোনও আধারে যেন পানি না জমতে না পারে – সে বিষয়ে সচেতন না হয়, তবে এটা (ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ) অত্যন্ত দুরূহ। তারপরও আমরা কাজ করে চলেছি। আমরা আশাবাদী, এই চিরুনি অভিযানের ফলে ডেঙ্গু রোগী বা এডিস মশার বিস্তার আমরা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব। কিন্তু কাজটি অত্যন্ত দুরূহ, তারপরও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

যেখানেই সরকারি আবাসন সেখানেই নোংরা, অপরিচ্ছন্নতা দৃশ্যমান – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখন কঠোর হচ্ছি, জরিমানা করছি। তারপরও আমরা দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতা লক্ষ্য করছি। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা যদি সবাই দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করি তাহলে এটার বিস্তার এতদূর হতে পারে না। আমরা এখন ঘরে ঘরে যাচ্ছি। যত তথ্য পাচ্ছি, সবগুলোই আমরা নির্দিষ্টভাবে আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করছি।”

জনগণ সচেতন না হলে ১ কোটি ২০ লক্ষ জনবসতির এই শহরে এডিস নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও দুরূহ উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “তারপরও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে যদি ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তাহলে সকলের দায়িত্বশীলতা-সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।”

এর আগে তিনি টিটি পাড়া পাম্প স্টেশন সংলগ্ন মান্ডা খালে বৃক্ষরোপণ করেন। পরে তিনি মতিঝিল টি এন্ড টি কলোনিতে মশক নিয়ন্ত্রণ, সেগুনবাগিচা ও ইস্কাটন গার্ডেন রোডে নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।