চীনের মতো ভালো বন্ধুরাষ্ট্র পেয়ে বাংলাদেশ ভাগ্যবান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১
0

কোভিড মহামারির মধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ায় চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। চীনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়, মহামারির প্রথম থেকেই চীন বাংলাদেশকে অনেক সহযোগিতা করেছে। এরপর মহামারির মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

শিনহুয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে সমানভাবে ভ্যাকসিন বিতরণের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক যে, অনেক ধনী দেশ প্রচুর ভ্যাকসিন মজুত করেছে। কিন্তু তারা সেগুলো তুলনামূলক দরিদ্র দেশগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করছে না। তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন সার্বজনীন হওয়া দরকার। কোনো ধরনের বৈষম্য না করে এটি সব দেশেই বিতরণ হওয়া উচিত।

প্রত্যেকটি মানুষ কোভিডমুক্ত না হলে কেউই এ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে না।

চীন-বাংলাদেশ যৌথ ভ্যাকসিন উৎপাদন চুক্তির সময় শিনহুয়াকে ওই সাক্ষাৎকার দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মহামারির প্রথম দিকে চীন যখন সংকটে পড়েছিল তখন বাংলাদেশ চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। পরে যখন বাংলাদেশ সমস্যায় পড়ে তখন চীনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পাল্টা সাহায্য করেছিল। চীনের মতো ভালো বন্ধুরাষ্ট্র পেয়ে বাংলাদেশ ভাগ্যবান।

শিনহুয়ার প্রতিবেদনে সব থেকে গুরুত্ব পেয়েছে করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধান সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের বক্তব্য। এ নিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না হয়ে বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিত। মন্ত্রী বলেন, করোনার উৎস ও কারণগুলো খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আমি মনে করি, এটি বিজ্ঞানীদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তদন্ত হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনে।

নিজের দাবির পক্ষে উদাহরণ টানেন তিনি। নিয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের ইরাকে হামলার কথা। বলেন, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। তখন ছবি ও ভুয়া প্রমাণসহ খবর আসে, ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। এতে সমগ্র বিশ্ব বিভ্রান্ত হয়ে সেটি সত্য বলে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ঘটনাক্রমে তারা ইরাক দখলের পর দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে যথাসাধ্য চেষ্টা করেও এর অস্ত্র খুঁজে বের করতে পারেনি।