চুরির পশু দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল ডেইরি ফার্ম, সন্ধান মিলেছে অর্ধশতাধিক ছাগল ও ভেড়াসহ ২০ গরু

আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২২
0

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করে আনা গরু ছাগল ও ভেড়া দিয়ে গাজীপুরে ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলেছিলেন সাবদুল মন্ডল। শনিবার রাতে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা পুলিশ চোরাইগরু উদ্ধার অভিযানে এসে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় চোরাইপশুর খামারের সন্ধান পেয়েছে। চোরাইপশুর ওই খামারে ২০টি গরু এবং অর্ধশতাধিক ভেড়া ও ছাগল পাওয়া গেছে।

অভিযানে অংশ নেয়া ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, ত্রিশাল থানায় গরু চুরির এক মামলায় গত শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জন গরুচোরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকৈর পলাগাছ এলাকার সাবদুল মন্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ হয়। এসময় ওই বাড়ির ভেতর ২০টি গরু ও অর্ধশতাধিক ভেড়া ও ছাগল জব্দ করা হয়। পরে ত্রিশাল থানায় গ্রেফতারকৃত চোর ও গরুর মালিকের সনাক্ত অনুযায়ী সেখান থেকে ৩টি গরু উদ্ধার করে নিয়ে যান। গাছা থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সাবদুল মন্ডল ও তার ছোট ভাই কথিত সাংবাদিক নাহিদ সরকার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। নাহিদ সরকার জিএমপি টঙ্গী পূর্ব থানার একটি ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় আসামী।

স্থানীয়রা জানান, সাবদুল মন্ডলের বাড়িটি আবাসিক হিসেবে ইতোপূর্বে ভাড়া দেয়া হতো। সম্প্রতি বাড়িটি খালি করে দিয়ে প্রতিটি রুমে গরু, ছাগল ও ভেড়া এনে রাখা হচ্ছিল। পশুগুলো কোথায় থেকে আনা হচ্ছিল তা স্থানীয়দের জানা ছিল না। পুলিশের অভিযানের পর তারা জানতে পারেন, এসব পশু বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করে ওই বাড়িতে এনে রাখা হচ্ছিল। বাড়ির সামনে প্রায় আট ফুট দীর্ঘ সাইনবোর্ডে ‘সাংবাদিক নাহিদ সরকার ভিলা’ লেখা রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফঁাকি দিতেই এই সাইনবোর্ডের অন্তরালে চোরাইপশুর খামার গড়ে তোলা হয়েছিল।

গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, খামারে চোরাই পশু রাখা হতো বলে জানাগেছে। চোরাইগরুর খামারের সন্ধানের খবর পেয়ে বিভিন্ন থানা থেকে গাছা থানায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। শনিবার রাতেই ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার মামলায় ৩টি গরু এবং জিএমপি সদর থানা পুলিশ গরুচুরির এক মামলায় আরো ৩টি গরু সনাক্ত করে নিয়ে গেছে। অবশিষ্ট ১৪টি গরু গাছা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। গাজীপুর মহানগর ও জেলার আশপাশের থানা ছাড়াও পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার পাগলা, গফরগঁাও ও ভালুকা থানা এলাকায় সাম্প্রতিক গরুচুরির ঘটনায় গরুর মালিক ও সংশ্লিষ্ট থানা থেকে গাছা থানায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। ভেড়া ও ছাগলগুলোও চোরাই কিনা তা এখনো জানা যায়নি।