চুয়েটে ৫২তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালিত

আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২২
0

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মকে দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে দূওে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় আসার পর দেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত-সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যে কোনো দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি হচ্ছে কানেক্টিভিটি ও ইলেকট্রিসিটি। বর্তমানে এ দুটি খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। এসব উন্নয়ন কর্মকা-ে মূখ্য ভূমিকা রাখছেন প্রকৌশলী সমাজ।

প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় হিসেবে এ ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।” তিনি আজ ২৬শে মার্চ (শনিবার) ২০২২ খ্রি. সকাল ৯.০০ টায় চুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, প্রভোস্টগণের পক্ষে ড. কুদরাত-ই-খুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আরাফাত রহমান, স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, চুয়েট শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম.কে. জিয়াউল হায়দার, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দিন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইফফাত হক নিশান ও শাফক্বাত আল রুম্মান। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা করেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ, মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব নাহিদা সুলতানা ও উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।

এর আগে সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় চুয়েট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে সুসজ্জিত আনসার বাহিনীর কুচকাওয়াজের মাধ্যমে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনসহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। পরে শহিদ মিনারে উপাচার্য মহোদয় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর সাথে ছিলেন। এরপর ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউট পরিচালকগণ, বিভাগীয় প্রধানগণ ও সেন্টার চেয়ারম্যানগণ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও হল প্রভোস্টগণ, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে চুয়েট ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহিদদের কবর জেয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল- শিক্ষার্থী বনাম শিক্ষক ও কর্মকর্তা বনাম কর্মচারী প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, চুয়েটের ছাত্রছাত্রী ও ক্যাম্পাসের শিশুকিশোরদের জন্য পৃথক রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, দেশাত্মাবোধক গান, জয়ধ্বনি’র পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বাদ আছর কেন্দ্রীয় মসজিদে বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল।