চড়ুইভাতি আয়োজন করল মাটিরাঙ্গা ফুটবল একাডেমি

আপডেট: ডিসেম্বর ১১, ২০২২
0

এ এম ফাহাদ : হারিয়ে যাচ্ছে চড়ুইভাতি। মাঠের মধ্যে অথবা বাড়ির উঠোনে চলতো রান্নাযজ্ঞ। রান্নার ঘ্রাণে মৌ মৌ করতো পুরো বাড়ি। তাতেই আনন্দে আটখানা হতো কচি-কাঁচার মুখ। এটিই ছিল চড়ুইভাতি। আর এই চড়ুইভাতিই আয়োজন করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে ধরে রাখল মাটিরাঙ্গা ফুটবল একাডেমির শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাটিরাঙ্গা বনশ্রী বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সেক্রেটারি হাসানুল হক পাটোয়ারী বাসরী, সহকারী কোচ জুয়েল চাকমা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।

সকলে এক সঙ্গে রাতের খাবার খায়। রান্নাও করেছিল শিক্ষার্থীরা নিজেরাই।

চড়ুইভাতি অনুষ্টানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিনোদন মূলক নাচ গানের মধ্য দিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে।

একাডেমীর সেক্রেটারি হাসানুল হক পাটোয়ারী বাসরী বলেন এই বয়সে ছেলে মেয়েরা নানারকম অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। জড়িয়ে পড়ে কিশোর গ্যাং নামক গ্রুপে। তাই তাদেরকে এসকল অপরাধ মূলক কর্মকান্ড থেকে সরিয়ে এবং খেলাধূলার মধ্য নিয়োজিত করেছি। তিনি আরো বলেন আমার একাডেমিতে বর্তমানে ৫৬ জন শিক্ষার্থী আছেন আমি উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই একাডেমি পরিচালনা করি দুই জন কোচকে নিয়ে। তবে উপজেলা ক্রিড়া সংস্থা যে সহায়তা করেন তা খুবই অল্প তাহারা আমাদের প্রতি আরেকটু সহায়তা বাড়িয়ে দিলে আমরা একাডেমি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারব। বর্তমানে এই একাডেমির ৩ জন বাংলাদেশের অনুর্ধ ১৭ দলে খেলেন। আগামীতে জাতীয় দলেও খেলবে আমি আশা রাখি।
তাছাড়া তাদেরকে আনন্দ উৎসাহ প্রদান ও তাদের মনোবল আরো বাড়াতে এই চুড়ইবাতির আয়োজন।