ছাত্রলীগের মামলায় জেলা বিএনপির আহবায়ক সহ ৬ নেতা কারাগারে

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
0

পিরোজপুর সংবাদদাতা :

পিরোজপুরে বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের দায়ের করা মামলায় জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন সহ ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রæয়ারি) পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মহিদুজ্জামান এ রায় দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খায়রুল ইসলাম বাশার বলেন, ওই দিন জলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন সহ ১০ নেতাকর্মী জেলার চিফ জজ মোহাম্মাদ মহিদুজ্জামান আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে আহবায়ক সহ অপর ৬জনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সরদার কমারুজ্জামান চান জানান, জামিন নামঞ্জুর হওয়া অপর আসামীরা হলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন নাসির মল্লিক, সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ শিকদার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার।

জেলা বিএনপির সদস্য সরদার কমারুজ্জামান চান জানান, এর আগে দলীয় এই নেতাকর্মীরারা হাইকোর্ট থেকে ৪২ দিনের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে হলে তারা ওই দিন পিরোজপুর জেলা জজ মোহাম্মাদ মুহিদুজ্জামান এর কোর্টে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন এর আবেদন করেন।
এসময় আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় নেতাদের মুক্তি চেয়ে মিছিল করে। আদালতের প্রত্যক্ষাদর্শীরা জানান, ওই মামলার আসামী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার জামিন না মঞ্জুর হবার সাথে সাথে আদালত প্রঙ্গানে থালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও দলীয় নেতকর্মীর মুক্তি চেয়ে ¯েøাগান ধরেন।

উল্লেখ্য গত ২৬ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম বাদী হয়ে সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন হুকুমের আসামী করে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়।

মামলা সুত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে মিছিল বের করে। একই সময় জেলা বিএনপির নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা গণমিছিল নিয়ে বের হয়। ২টি মিছিল জেলা কালেক্টরেট স্কুলের মূল গেটে পৌঁছলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নির্দেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানাসহ সব আসামিরা বোমা হামলা করে। পরে বিএনপি-ছাত্রলীগের মধ্যে শহরের পোস্ট অফিস সড়কে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই মামলায় আজ বিএনপির নেতাকর্মীরা হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ মোট ৬ জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই রায় মানি না। এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা এই সরকারের কাছে মুক্তি চাইব না আমরা মুক্তি চাইব এ দেশের জনগণের কাছে।