ছাত্রশিবিরের জাতীয় শর্টফিল্ম প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান সম্পন্ন

আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২৩
0


ইসলামের প্রচার-প্রসারে শর্টফিল্ম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে—ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আজম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, “যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে ইসলামপ্রিয়দেরও সৃজনশীল হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব এখন সর্বত্র। এক্ষেত্রে ইসলামের প্রচার-প্রচারে শর্টফিল্ম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে।”

তিনি রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘জাতীয় শর্টফিল্ম প্রতিযোগিতার’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও পুরস্কারপ্রাপ্তরা।

ড. আজম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, “মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন মানবজীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এ হার প্রায় ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৮০ শতাংশ মানুষের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ মানবীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক দূরত্বকে পুরোপুরি দূর করে দিয়েছে।

এ সুযোগকে ব্যবহার করে ইসলামবিরোধীরা অসংখ্য অগণিত কন্টেন্ট তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অথচ মুসলমানরা চাইলে একই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে একদিকে যেমন অপপ্রচারের জবাব দিতে পারে তেমনি ইসলামের সুমহান আদর্শকে সর্বত্র তুলে ধরতে পারে। যদিও অনেকেই এ চেষ্টা করছেন। তবে ইসলাম নিয়ে কন্টেগুলো যথেষ্ট নয়।”

তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির একটি সৃজনশীল সংগঠন। জন্মলগ্ন থেকেই ইসলামের সুমহান আদর্শকে তুলে ধরতে নানা রকম কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। প্রতিভা অন্বেষণ ও প্রতিভাবানদের যথাসাধ্য পৃষ্ঠপোষকতা করা ছাত্রশিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রতিভাবানদের দিয়ে ইসলামের বুদ্ধিভিত্তিক কাজের আঞ্জাম দেওয়া ফলপ্রসূ হয়। সুতরাং ছাত্রশিবিরকে প্রতিভা অন্বেষণ, প্রতিভা লালন ও বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্রশিবিরের এ মহতী উদ্যোগ অনুপ্রেরণামূলক। এমন গঠনমূলক কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, “সার্বিক জীবনে ইসলামের প্রতিফলনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত জাতি গঠন ছাত্রশিবিরের মূল উদ্দেশ্যে। এ জন্য ছাত্রশিবিরকে ৪৬ বছরের নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। যা ফলপ্রসূও হয়েছে। আজকের আয়োজনটিও সময়ের সাথে সংগতিপূর্ণ, ব্যতিক্রম ও যুগোপযোগী। প্রতিকূলতা মাড়িয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হচ্ছে। কিন্তু শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও আমরা সৃজনশীল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছি। ভবিষ্যতে এ প্রচেষ্টা আরো বেগবান হবে, ইনশাআল্লাহ।”

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় ছাত্রশিবিরের ১০টি শাখাকে ক্রমানুসারে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।