জটিল রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সমাধান চাইতে গিয়ে আদালতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি —- মীর্জা ফখরুল

আপডেট: জুন ১১, ২০২১
0

করোনা মুক্ত হলেও পুরনো রোগের জটিলতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই আছেন খালেদা জিয়া।
এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিতসাধীন দলের চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘‘ ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, উনার মিনিমাম যে প্যারামিটারগুলো আছে পোস্ট কোবিডের থেকে উনি মোটামুটি বেটার।”

‘‘ ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যে সমস্যা্গুলো উদ্বেগজনক। একটা হচ্ছে তার হার্টের প্রবলেম তার একুয়েট আছে, কিডনির প্রবলেম একুয়েট আছে। এই দুইটি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন আছেন। উনার মনে করছেন যে, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, এডভান্স সেন্টারগুলো আছে –সেগুলো যথেষ্ট নয় উনার টিট্রমেন্টের জন্য।”তিনি বলেন, ‘‘ বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন যে, উনার(খালেদা জিয়া) এডভান্স টিট্রমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়ে এডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরী। আমরা সেটা বার বার বলছি।”

খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আগেও বলেছি, এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছি- দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়ে্ছে আদালতে। একেবারে রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।”

‘‘ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত, তারপরে যাবতীয় যেসমস্তগুলো আইন করেছে তা আদালত করেছে। আর ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় করে থাকে তাহলে আদালত করেছে। কোনো আইনেই কোনোভাবেই তার সাজা হতে পারে না এবং তার আবার বর্ধিত করা যেতে পারে না। ওই জায়গায় আদালতের প্রতি আস্থাটা আমাদের এতো কত যে, আমাদেরকে ধীরে সুস্থে চিন্তাভাবনা করে আদালতে যাবো।”গত ২৭ এপ্রিল পোস্ট কোবিড জটিলতায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে হৃদরোগে বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিতসা চলছে।

গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুই নল নিয়ে স্থাপন করে তার ফুসফুসে পানি অপসারন করা হয়। গত ৩ জুন চিকিতসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়।
সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া ‘হঠাত’ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে।

গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলরু রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালকুদার, কায়সার কামাল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।