জনগনের বিক্ষোভ – প্রতিবাদে দিশেহারা হয়ে সরকার গ্রেফতার বাণিজ্য শুরু করেছে– আফরোজা আব্বাস

আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২১
0
file p

জনগনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে দিশেহারা হয়ে সরকার গ্রেফতার বাণিজ্য শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আফরোজা আব্বাস। ঢাকা-চট্টগ্রাম বরিশাল অঞ্চলে নিপুনরায়সহ একাধিক নারী নেত্রীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘সরকারের এধরণের অমানবিক কর্মকান্ডে সারাদেশে এখন অশান্ত, অস্থিতিশীল ও সংকটময় পরিবেশ বিরাজ করছে। ‘

আফরোজা আব্বাস ছাড়াও বিবৃতি দিয়েছেন , সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান।

নেত্রীরা বলেন, “ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষের কন্ঠরোধ করতে নির্বিচারে হামলা, গ্রেফতার ও জীবন কেড়ে নিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী নিষ্ঠুর সরকার। জনগণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যাসহ বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। সরকারের এধরণের অমানবিক কর্মকান্ডে সারাদেশে এখন অশান্ত, অস্থিতিশীল ও সংকটময় পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবর্তে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে তাজা রক্তে হাত রঞ্জিত করছে সরকার। বেধড়ক লাঠিচার্জ করে মানুষকে আহত ও পঙ্গু করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে। মহিলারাও সরকারের আগ্রাসী থাবা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না।

গতকাল চট্টগ্রামে মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঁখি সুলতানা, বন্দর থানা মহিলা দল নেত্রী ফাতেমা কাজল ও পাহাড়তলী থানা মহিলা দল নেত্রী রিনা আক্তারকে গ্রেফতার সরকারের ধারাবাহিক অপকর্মেরই অংশ। দেশে আইন-কানুনের ছিঁটেফোটাও অবশিষ্ট নেই বলেই আওয়ামী সরকারের নিষ্ঠুর আচরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অতীতের সকল স্বৈরাচারের মতোই বর্তমান আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীরও পতন ঘটাতে জনগণ এখন আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছে। জনগণের বাঁধভাঙ্গা আন্দোলনের গণজোয়ারে অবৈধ সরকারের সিংহাসন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। আমরা অবিলম্বে মনোয়ারা বেগম মনি, আঁখি সুলতানা, ফাতেমা কাজল ও রিনা আক্তার এর নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।”