জন্মদিনে শ্রদ্ধা-ভালবাসায় সিক্ত আহমেদ আলী মুকিব

আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২২
0
mukib

৫৮তম জন্মদিনে হবিগঞ্জসহ গোটা বর্হিবিশ্বের বিএনপির নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মধ্যপ্রাচ্য সাংগঠনিক সমন্বয়ক সৌদিআরব বিএনপির আহ্বায়ক হবিগঞ্জ ২ বানিয়াচং আজমীরিগঞ্জ আসনের সবার প্রিয় জননেতা আলহাজ্ব আহমেদ আলী মুকিব।
নীরবেই আজ শুক্রবার (২৫শে মার্চ)কাটলো ৫৮তম জন্মদিন। প্রচারবিমুখ আহমেদ আলী মুকিব কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে তার জন্মদিন পালন করেন না। এমনকি নেতা-কর্মী-সমর্থকদেরও তার জন্মদিন পালনে নিষেধ করেন। ফলে বরাবরের মতো এবারও তার জন্মদিনে ছিল না কোনো আয়োজন। তবে জন্মদিন উপলক্ষে নিজ নির্বাচনী এলাকাসহ সারাদেশে ও প্রবাস থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও ভক্তরা ফেসবুকসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আহমেদ আলী মুকিব কে শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে তার আগামীর পথচলা যেন আরও সাফল্যমণ্ডিত হয় সেই দোয়া করেন সবাই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন আহমেদ আলী মুকিব নিজ নির্বাচনী এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় বলে জানান নেতা-কর্মীরা। এছাড়া আহমেদ আলী মুকিব মহামারি করোনার শুরু থেকেই হবিগঞ্জসহ বানিয়াচং আজমীরিগঞ্জের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে।বিতরণ করা হয়েছে মাস্ক। এছাড়া তার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে,।

কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ আহমেদ আলী মুকিব ১৯৬৪ সালের ২৫ মার্চ হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় শিবপাশা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে পিতা হাফেজ আব্দুহ শহীদ ও মাতা আমেনা বেগমের কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মধ্যেপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও সৌদিআরব বিএনপির আহ্বায়ক আহমেদ আলী মুকিব চার ভাই দুই বোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। ১৯৯৪ সালের আগস্ট বানিয়াচং ঐতিহ্যবাহী পরিবারের মেয়ে আকিদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিবাহিত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক কন্যার গর্বিত পিতা। বড় ছেলে তারিক সৌদি আরবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছে।কন্যা রিম সৌদি আরবের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ‘এ’ লেভেলে পড়াশোনা করছেন।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে মধ্যেপ্রাচ্য ঝড় তোলা বিএনপির এই তরুন নেতা তখন কে জানত যে, বাংলার প্রত্যন্ত জনপদ হবিগঞ্জের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এ শিশুটি একদিন বড় হয়ে ভাটি বাংলার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজ জীবনকে নিবেদন করবেন।সংগ্রামী জীবনে সততা, মেধা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জনকল্যাণমূলক রাজনীতির অভীষ্ট লক্ষ্যে তিনি এগিয়ে চলেছেন। ’১/১১-এর পর রাজনীতির ক্ষেত্রে দল ও মতাদর্শ পরিবর্তনের হিড়িক পড়ে যায়। রাজনীতিকরা সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বেচাকেনার সামগ্রীতে পরিণত হয়। প্রলোভন ও হুমকির মুখে বহু আদর্শবাদী আদর্শচ্যুত হলেও তিনি ছিলেন নির্ভীক, ব্যতিক্রম এবং অনন্য,মাথা নত করেননি।কিন্তু কোনো ধরনের প্রলোভন বা হুমকির কাছে নতি স্বীকার করেননি।শহীদ জিয়ার আদর্শ ও চেতনার একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে শুধু দেশের মানুষের কাছে নয়, সমগ্র বিশ্বেই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি পরিচিত।

আহমদ আলী মুকিবের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, তরুণ বয়সে আশির দশকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে তিনি সৌদি আরব পাড়ি দেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন সৌদি আরব শাখা বিএনপির রাজনীতিতে। দেশ প্রেমিক এই রাজনীতিবিদ ‘৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের জন্য তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২৪ ঘণ্টাই ডুবে থাকেন দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফলত, ৯৮ সালে সৌদি আরব শাখা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যান দলের জন্য এবং সাংগঠনিক কাজে চষে বেড়াচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যে থেকে ইউরোপে। এছাড়া ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মাঠে থেকে তাকে প্রবাসে আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি ২০০৯ সালে পদোন্নতি পেয়ে সৌদি আরব শাখা বিএনপির সভাপতি হন। সাম্প্রতিক আহমদ আলী মুকিবকে দীর্ঘদিনের ত্যাগের মূল্যায়ণ হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হয়।অল্প দিনেই মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির দৃশ্যপট পাল্টে দেন তার নেতৃত্বেই সুসংগঠিত হয় মধ্যপ্রাচ্য বিএনপি লেবানন কাতার সংযুক্ত আরব আমিরাত বাহরাইন কুয়েত সৌদিআরব পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল শাখার অনুমোদন হয়।শীঘ্রই জর্ডান মিশর আলজেরিয়া ওমান সহ আরো কয়েকটি দেশের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

বিএনপির দু:সময়ের কান্ডারী আহমদ আলী মুকিব বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত সুচিকিৎসার দাবীতে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় কমিশনে সহ বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বারক লিপি সহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহন করেন।বিগত ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রবাসে জনমত গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। গুম-খুন, মামলা-হামলাসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুলেন ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে।বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন। বিএনপিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইডিসির সদস্য পদ লাভে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এছাড়া সরকারের প্রতিটি অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে প্রবাসে জোরালো কর্মসূচি পালনে ভূমিকা রাখেন তিনি।