জুরাইনের সড়ক ও ফুটপাত হকারের দখলে

আপডেট: জুন ৫, ২০২২
0

মোঃ মনির হোসেন :

রাজধানী ঢাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে গড়ে ওঠা জুরাইন জনপথ সড়ক। মাত্র এক’কিলোমিটার এ সড়কের দু’ধারে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসার নামে শতাধিক পয়েন্টে হকার ও দোকান বসিয়ে প্রতিবন্ধক তৈরি করা হয়েছে।
এতে সাধারণ পথচারী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছে না। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কে নেমে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দিনের পর দিন এ সমস্যা চলতে থাকলেও সমাধানের দায়িত্ব যেন কারোরই নেই। থানা পুলিশ আর সিটি কর্পোরেশনও বলল সীমাবদ্ধতার কথা।

সরেজমিন রবিবার দুপুরে ওই সড়কটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে জুরাইন জনপথে ঢুকেই জুরাইনে দু’ধারে বিভিন্ন নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছে কতিপয় হকার।
তারা এমনভাবে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করেছে যে সাধারণ মানুষ চলাচলের কোনো পথই খোলা নেই। বিক্রমপুর প্লাজা সড়ক থেকে আলম মার্কেট সড়কে ঢুকেই দেখা গেলে দু’ধারের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে কাপড়ের ও ফলের দোকান।
জুরাইন রেলগেট থেকে সিটি কর্পোরেশন মার্কেট সড়রকে প্রবেশমুখে বাম পাশে গড়ে উঠেছে গাড়ির সিএনজি স্ট্যান্ড । তারা ফুটপাত ও সড়ক দখল করে টায়ারও গাড়ির রেখে প্রতিবন্ধক তৈরি করে রেখেছে।

রাস্ত পার হয়ে দেখা গেল, দু’ধারে ফুটপাতের ওপর ভ্যান রেখে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করছে। এতে করে ফুটপাত ব্যবহার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। জমজম , ফুটপাতের ওপরে চায়ের দোকান জুতার দোকান ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দোকানের কারণে ওখানে চলাচল করাই যায় না।

জুরাইনে পুরো ফুটপাত বন্ধ করে লেগুনা স্টান স্থান করা হয়েছে। এখানেও ফুটপাত ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

অবৈধ বাজার গড়ে উঠেছে জুরাইন জনপথের রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে।

বছরের পর বছর এ জায়গায় স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ থাকলেও সুবিধাভোগী প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল চুপ থাকছেন বরাবরই।
খুচরা ব্যবসার স্থান,কোনোভাবেই ব্যবহার উপযোগী নয়। বিক্রমপুর প্লাজা পাশেই গড়ে উঠেছে ডাবের দোকান আর খাবার হোটেল। এখানে ফুটপাত বলতে কিছুই নেই।
পথচারী হৃদয় বলেন, এ সড়কে আমরা প্রতিদিন চলাচল করি। স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে যেতে হয়। অথচ জায়গায় জায়গায় ফুটপাত। এমনভাবে দখল করা হয়েছে যে আমাদেরকে সড়কে নেমে চলতে হয়।
ব্যস্ততম এ সড়কে চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে দেখি অনেককে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে বলেছেন তিনি।