‘জুলাই মাসে ৭৩টি কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার : শিশুর ওপর বাড়ছে সব ধরনের নির্যাতন ‘

আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২১
0

জুলাই মাসে ১৮১ জন নারী ও শিশু ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে শিশুই ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৩ জন। ধির্ষণ ছাড়াও শিশুর ওপর সব ধরনের নির্যাতন বাড়ছে বলে গণমাধ্যমে চিত্র পাঠিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান যে , বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২০২১ সালে জুলাই মাসে ৭৩ জন কন্যাশিশু নির্যাতন এবং ১০৮ জন নারী নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনাসহ মোট ১৮১ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার। জানুয়ারি থেকে জুন, ২০২১ পর্যন্ত ৪৩১ জন কন্যাশিশু ধর্ষণসহ ৬৯৭ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২১ সালের জুলাই মাসে মোট ১৮১ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭ জন তন্মধ্যে ২৮ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার, ৫ জন কন্যাশিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ২ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ও ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার শিকার হয়েছে ১ জন। এছাড়াও ৪ জন কন্যাশিশুসহ ৯ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ১ জন কন্যাশিশুসহ ৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন।

অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। ১ জন কন্যাশিশু উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণে আত্মহত্যা করেছে ১ জন। ৫ জন কন্যাশিশুসহ ৬ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে ৭ টি। বিভিন্ন কারণে ৫ জন কন্যাশিশুসহ ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ২ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯ জন, তন্মধ্যে ২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৭ জন কন্যাশিশুসহ মোট ১৩ জন।

বিভিন্ন নির্যাতনের কারনে আত্মহত্যা করেছে ৩ জন কন্যাশিশুসহ ১০ জন। ৫ জন কন্যাশিশুসহ ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ২টি ও বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে ১টি। ১ জন কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ৬ জন।

জানুয়ারি থেকে জুন, ২০২১ পর্যন্ত ৪৩১ জন কন্যাশিশু ধর্ষণসহ মোট ৬৯৭ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তন্মধ্যে ৪১ জন কন্যাশিশুসহ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০৪ জন নারী ও কন্যাশিশু ও ১২ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ১৬ জন নারী ও কন্যাশিশু। ৩৪ জন কন্যাশিশুসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু।

১২ জন কন্যাশিশুসহ উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ২২জন নারী ও কন্যাশিশু। ২৯ জন কন্যাশিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯৯ জন নারী ও কন্যাশিশু। ৬২ জন কন্যাশিশুসহ হত্যার শিকার হয়েছে ২২১ জন নারী ও কন্যাশিশু। ২২ জন কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।